রাজ্যের ৮২০৭ স্কুলে 'ছুটি', এখন থেকে বন্ধ পাঠশালা?
রাজ্যে বন্ধ হতে চলেছে ৮২০৭ টি স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেই সংক্রান্ত একটি তালিকাও তৈরি করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। যেখানে ছাত্র সংখ্যা শূন্য থেকে ৪১ জন। শিক্ষকের সংখ্যা এক থেকে চার। প্রধাণত প্রি পাইমারি থেকে আপার প্রাইমারি স্কুলগুলিই বন্ধ হওয়ার মুখে। যার অর্থ ক্লাস ওয়ান থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত রাজ্যের শিক্ষা দফতরে এই তালিকাই দেখিয়ে দিচ্ছে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষার আসল কংকালসার চেহারা। এই ছবি মূলত সরকার পোষিত বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলির।
যদিও এই তালিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বোঝানোর চেষ্টা করেছেন,রাজ্যে ইংরাজি মাধ্যমের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে বলেই প্রাথমিকে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা কমছে। কিন্তু শিক্ষাবিদদের দাবি, সমস্যা আরও গভীরে।
খোদ কলকাতায় এমন পাঁচশো বেশি স্কুলের হদিশ পাওয়া গেছে যেখানে ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ৪০ এর নীচে। যার অধিকাংশই কলকাতা পুরসভার স্কুল। ফলে বোঝাই যাচ্ছে পুরসভার গাফিলতিতেই স্কুলের এমন দশা। শিক্ষক-শিক্ষাবিদদের মতে কলকাতা শহরের ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য আংশিক সত্য বলে মেনে নিলেও মূল সমস্যা তাতে কমে না। আসল বিষয় হল সরকারের স্কুল পরিচালনায় অনীহা। তাঁদের দাবি স্কুলে ছাত্রছাত্রী না আসার কথা বলছেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু কটা স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী আছেন? কেন গত ১১বছর কোন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি?
সরকারি তথ্যই জানাচ্ছে এই ৮২০৭টি অর্ধেক স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা চারের কম। কিছু স্কুলে শিক্ষক থাকলেও শিক্ষাকর্মী নেই। তাঁদের কাজও করতে হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। ফলে পড়ানোর সময় মেলে কম। তার ওপর সরকারি স্কুলে হঠাত হঠাত ছুটি ঘোষণাও স্কুল সম্পর্কে অনীহা তৈরি করেছে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে। শিক্ষাবিদদের মতে মূলত চারটি কারণে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা কমছে রাজ্যের স্কুল গুলোতে।
স্কুল বন্ধের ৫ কাহন
---অপ্রতুল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী। শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া কারণে
---শিক্ষক শিক্ষিকাদের ওপর ভোটের কাজ অন্যান্য সামাজিক কাজের দায়িত্ব চাপানোর প্রবণতা
---লকডাউন পরবর্তী সময়ে আর্থসামাজিক বাস্তবতার আমূল পট পরিবর্তন, ফলে স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে নিম্ন-নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে।
---সরকার পোষিত স্কুলে বছরে ১৬০ দিনও নিয়ম করে ক্লাস হয় না, ফলে মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যেও স্কুল যাওয়ার আগ্রহ কমছে। ছাত্রছাত্রী অভিভাবকরাও এত ছুটি পছন্দ করছেন না।
---সে সব ক্ষেত্রে স্থানীয় বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে বাড়তি খরচ করেও ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া শেখাচ্ছেন। বা শিক্ষা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন
উচ্চবিত্তদের মধ্যে সরকারি স্কুলে ছেলেমেয়েদের পড়ানোর প্রবণতা কোনদিনই ছিল না, সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুলে পড়াশোনা করে গরীব নিম্নবিত্ত নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরাই। তারাই ছিটকে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে। সাম্প্রতিক একটি তথ্য জানাচ্ছে প্রাথমিকে ছাত্রভর্তির সংখ্যা কমেছে প্রায় ৫ লক্ষ
রাজ্যের সর্বত্র একই রোগ ছড়িয়েছে তৃণমূল সরকারের গত এগারো বছরে।
Tags:
West Bengal news
Education
West Bengal
West Bengal Education
bangla news
Bengali news
school education
bengali news today
bengal ssc scam
ssc scam west bengal
bengal ssc case
school
west bengal news today
Madhyom
ssc scam in bengal
schools
education system
school system
school education west bengal
8207 schools closed
school closed
schools going to be closed
8207 schools
schools close
west bengal school close
west bengal primary education