চার বছর পর ফের নবান্নে শোভন-বৈশাখী
চার বছরের মান অভিমানের ইতি। ফের দিদির আশ্রয় পেতে নবান্নে জল শোভন।
দিদির ইচ্ছেকে বাস্তবায়িত করাটাই কাজ, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টা খানেকের বৈঠকের শেষে বললেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৈশাখী বললেন দিদি শোভনকে একটু বেশিই প্রশ্রয় দেন।
সকাল থেকেই তোড়জোড় চলছিলই। শোভন চট্টোপাধ্যায় আসছেন নবান্নে। কানাঘুষো দানা বাধছিল, তাহলে কি ফের তৃণমুলে ফিরছেন শোভন-বৈশাখী জুটি? কারণ প্রায় চার বছর বাদে ফের নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে শোভন, ২০১৮-র পর প্রথমবার। কি কারণে এই বৈঠক? শোভন যদিও বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন মমতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শুধু ব্যক্তিগত নয় গুরুশিষ্যের।
সেদিক দিয়ে অনেক সরাসরি জানালেন, শোভন বান্ধবী বৈশাখী, আজকের বৈঠক রাজনৈতিক কারণে তো বটেই, তবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক অনেকটাই কাজ করছে। দিদির কথায় এবার থেকে কাজ করবে শোভন।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি। বিজেপি ছেড়ে প্রায় রাজনৈতিক সন্ন্যাস। তখন একদা শোভনের রাজনৈতিক টিকাকার সাংবাদিক থেকে রাজনীতিক, পরে তৃণমূলের মুখপাত্র বনে যাওয়া কুনাল ঘোষ কটাক্ষ করেছিলেন, বিজেপিতে যাওয়া অনেকের মতই, 'গ্ল্যাক্সো বেবি' শোভনের তৃণমূলে ফিরে আসা আর সম্ভব নয়। একদা মমতার কোর টিমের সদস্য শোভন নিজের ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন নিজেই ব্যতিব্যস্ত ছিলেন। যদিও সেই প্রসঙ্গ উঠতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন বৈশাখী তবে ফের। মমতাকে ধরে যে রাজনীতির ভারসাম্যে ফিরতে চাইছেন শোভন, তা তাঁর কথাতেই প্রকাশ।
তাহলে কি ২১ জুলাইয়ের সভাতেই ফের তৃণমূলে ফিরছেন শোভন-বৈশাখী জুটি? সময় নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই, তবে অভিষেকের যৌবরাজ্যে অভিষেকের সমাবেশে কি যথেষ্ট জায়গা পাবেন শোভন? তাঁর শূন্যস্থানে এখন অনেক নাম। দক্ষিণ ২৪ পরগণা হাতছাড়া, খালি একমাত্র বেহালা। সেখানকার বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআইয়ের চাপে জেরবার। সে কোন মুহূর্তে কোর্টের চাপে পদত্যাগ করতে হতে পারে। সেই শূন্যস্থানে কি শোভনের অভিষেক?