অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না করা খাবারে মিলল সাপ!
গরম খিচুড়িতে সেদ্ধ সাপ। খেতে গিয়ে চোখে পড়ল বাচ্চাদের। সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শিশু আর মায়েদের মধ্যে। দ্রুত বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। পূর্ব বর্ধমানের পাড়াতল দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের পুষ্টির জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয় রান্না করা খাবার। সেই খাবারের মেনুতে ’সাপ সেদ্ধ’ থাকবে এমনটা বোধহয় কল্পনাতেও ভাবেনি কেউ। কিন্তু বাস্তবেই বুধবার ’সাপ’ সহ খিচুড়ি রান্না হয় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বাগকালাপাহাড় গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। আর ওই খিচুড়ি খেয়েই ভয়ে অসুস্থ বোধ করে বাচ্চারা। আতঙ্কে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভিড় জমান মায়েরা। পাড়াতল ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম বাগকালাপাহাড়। শিশু ও গর্ভবতী মিলিয়ে ৫৪ জনের নাম নথিভুক্ত রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। বেলা ১০টার মধ্যে রান্না শেষ হলে শিশু ও গর্ভবতীরা সেই খিচুড়ি নিয়ে বাড়িতে চলে যান । খিচুড়ি খেতে গিয়েই বিপত্তি। এক শিশুর অভিভাবকদের চোখ কপালে ওঠে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি জ্যোৎস্না ঘোষ বলেন,তিনি নিজেও দেখেন খিচুড়িতে আস্ত একটা মরা সাপের বাচ্চা আছে । আট জন শিশু ওই খিচুড়ি খেয়েছিল। বাকি খিচুড়ি নষ্ট করে ফেলা হয়। জামালপুর ব্লকের বিডিও ও সিডিপিও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে শিশুদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজ নেন। তদন্ত শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন। জামালপুর ব্লকের সিডিপিও সুশোভন রায় মুখে কার্যত কুলুপ আঁটেন। বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার ফোনে জানিয়েছেন “শিশুদের বড় কোন বিপদ হয় নি এটাই রক্ষে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সবাইকে শো-কজ করা হয়েছে।