WhatsApp_Image_2022-10-15_at_2122.45
৫৩০ বেসরকারি কলেজ ইন্টু ৫০হাজার টাকা। কারণ, ঐ সমস্ত বেসরকারি কলেজে পড়ানো হত, বিএড ও বি.এড, ডি.ইএল.এড কোর্স। সব কলেজই গজিয়ে উঠেছিল গত ৮/ ১০ বছরে। সেই কলেজগুলোতেই ফোন যেত প্রাইমারি শিক্ষা সংসদের অফিস থেকে। বলা হত, অসঙ্গতি বন্ধ করতে কিছু খরচ করতে হবে। তার পরের ধাপ কনসালটেশন। মাত্র ৫০ হাজার দিলেই চলবে। ডিল হতই। যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হত একটি কনসাল্টেশন কোম্পানির সঙ্গে। সেই কোম্পানির মালিক শৌভিক ভট্টাচার্য। প্রাইমারি শিক্ষা সংসদের তৎকালীন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের সুপুত্র। ইডির দাবি বেশিরভাগ বেসরকারি কলেজের কাছ থেকে প্রাপকের নাম ছাড়াই চেক নেওয়া হয়েছে। অনেকেই পরে জেনেছেন "অ্যাকিউরি কনসালটেন্সি’র নামে জমা পড়েছে টাকা। এই ভাবে ২কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে,"অ্যাকিউরি কনসালটেন্সি’' তে। কনসাল্টেশন হয়নি। শুধু টাকা জমেছে মানিক পুত্রের অ্যাকাউন্টে।
শনিবার সকাল থেকেই একসঙ্গে ৬টা জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি।
---------------- ইডি তল্লাশি
১) উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের বাদু
২) কলকাতার কৈখালি
৩) সল্টলেক সেক্টর ফাইভের মহিষবাথান
৪) ৩০২ এপিসি রোডের আইডিয়াল হাইটস
৫) ড. কার্তিক বোস স্ট্রিট, কলকাতা
৬ ) শ্রীগোপাল মল্লিক লেন, কলকাতা
বারাসতের বাদুতে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের মিনার্ভা এডুকেশনাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (Minerva Educational & Welfare Society) মত নজরে ছিল সল্টলেক সেক্টর ফাইভের মহিষবাথানের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার। মিনার্ভার মালিক যেমন তাপস মণ্ডল। তেমনি আবার মহিষবাথানের টিচার্স ট্রেইনিং সেন্টারের মালিক বকলমে মানিক স্বয়ং। সেখানে নিয়মিত পায়ের ধুলো পড়ত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। সকালে ইডি হানার সময় অবশ্য তালা বন্ধ ছিল মহিষবাথানের সেন্টার। বাড়ির মালিককে ডেকে তালা ভাঙ্গার পরই চিচিং ফাঁক। বেশ কিছু ফাইল, নথি খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। বাজেযাপ্ত করা হয়েছে হার্ড ডিস্ক, বেশ কিছু নথিপত্র। তল্লাশিতে মিলেছে বহু চাকরির আবেদনপত্র ও বায়োডাটা । এমনই দাবি ইডি সূত্রের।
মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। এই তাপস মণ্ডল বিএড কলেজের মালিক। বারাসত স্টেডিয়ামের কাছে তাঁর বাড়ি। এদিন তাঁর বাড়িতে কলেজে তল্লাশি চালায় পুলিস। ইডি সূত্রে খবর, কলকাতা ছাড়িয়ে জেলাতেও ছড়িয়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়। বীরভূমের কৃষ্ণপুরে দুটি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের খোঁজ পেয়েছে ইডি। একটির নাম ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র কলেজ অফ এডুকেশন। অন্যটি গীতাঞ্জলি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ। এই দুটি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট-ই চালাতেন বিভাস অধিকারী। যিনি পার্থ ও মানিকের ঘনিষ্ঠ। কৃষ্ণপুরেও বেশ কয়েকবার এসেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও মানিক ভট্টাচার্য। এই ইনস্টিটিউটগুলি থেকে কার কার চাকরি হয়েছে, সেটাও এবার ইডির আতস কাঁচের তলায়। গত ১৩ তারিখ দল ছাড়েন এই বিভাস চক্রবর্তী।
নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসার পর থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন,
ভুল নয় সংগঠিত অপরাধ। অন্তত ইডি-র তথ্য থেকে উঠে আসছে সেই সত্য। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রত্যক্ষ মদতে, প্রাইমারি শিক্ষা সংসদের মাথায় বসে বেপরোয়া টাকা তুলেছেন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্যের অফিস বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা ইডি দাবি। গোটা শিক্ষা দফতর জেলখানায় ঢুকে যাওয়ার পর এর দায় মুখ্যমন্ত্রী এড়াতে পারেন না। এখন আরও স্পষ্ট হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কেন বলেছিলেন তাঁর হাতেও আলকাতরা লাগানো আছে।
Tags:
SSC recruitment scam
Madhyom
bangla news
Bengali news
ED raids
SSC Recruitment
Teacher Recruitment scam
ssc scam
Manik Bhattacharya
ssc scam news
bengal ssc scam
bengal ssc scam news
ED Raid
Recruitment scam
west bengal ssc scam
ssc scam west bengal
bengal teacher recruitment scam
teacher recruitment scam in west bengal
Bengal Recruitment scam
recruitment scam in west bengal
teacher recruitment in west bengal
ssc teacher recruitment scam
teacher recruitment 2022
Bangla khabor
ssc recruitment scam case
bengla ed raid
manik bhattachrya
west bengal ssc recruitment scam
manik bhattacharya news
manik bhattacharya comment
manik bhattacharya arrested
manik bhattacharya primary
manik bhattacharya tet scam
subiresh bhattyacharya
ed raids teachers training centre
ed raid in west bengal
raid in west bengal
ed raids bengal
manik's network
Network in Districts