নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে চাকরি গেল ১,৯১১ জনের
খেলা শেষের বাঁশি বেজে গেল। আদালতের রায়ে স্কুলের চাকরি গেল ১৯১১ জনের। সব কটি চাকরিই বেআইনি। নিয়মের বেড়াজাল ভেঙে গ্রুপ ডি পদে এই চাকরিগুলো দেওয়া হয়েছিল। চাকরি দিয়েছিল রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রস্তাব পাঠিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছে এসএসসি। গত নভেম্বরেই চাকরি গিয়েছিল ৬০৯ জনের। এবার গেল ১৯১১ জনের। মানে মোট চাকরি গেল ২৫২০ জনের। এই প্রথম একদিনে এতজনের চাকরি যাওয়ার নজির কার্যত বিরল। ওএমআর শিটে কারচুপি করে যে ২৮২৩ জনের চাকরি হয়েছে, তা আগেই হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ফলে আরও চাকরি যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। গ্রুপ ডির পাশাপাশি স্কুল শিক্ষকদেরও চাকরি যাবে। ২০১৬ সালে ৮০৩ জনকে বেআইনি ভাবে শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। সামনের সপ্তাহে তাদেরও চাকরি যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। ফলে নিয়োগ দুর্নীতির জালে জড়িয়ে সর্বস্বান্ত হতে বসেছে হাজার হাজার যুবক। আদালত জানিয়েছে, যাঁদের চাকরি গেছে, এতদিন পাওয়া বেতন তাঁদের মাসে মাসে ফেরত দিতে হবে। ফাঁকা হওয়া পদগুলিতে ওয়েটিং লিস্ট থেকে বাছাই করে যোগ্যদের চাকরি দিতে হবে। ওয়েটিং লিস্টে আছেন ৬,২০০ জন। তাঁদের মধ্যে আবার ওএমআর জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ৯৪৪ জন। ফলে বাছাই পর্বে দুর্নীতি রয়ে যাবে কিনা তানিয়েও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, এই বেআইনি নিয়োগের সংখ্য়া আরও বেশি। টাকা ফেরত পেতে কালীঘাটে গিয়ে চাকরি হারাদের ধরনার ডাক দিয়েছেন তিনি।
শিক্ষায় কেলেঙ্কারি যে কী রূপ নিয়েছিল, তা আদালতের একাধিক রায়ে ফুটে উঠেছে। দুর্নীতিতে জড়িয়ে জেলে আছেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কাদের নির্দেশে এমন দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন সুবীরেশ, সেই নাম তাঁকে জানাতে হবে। আর নাম না জানালে ধরে নিতে হবে, তিনিই দুর্নীতির মাথা। ফলে আগামী সপ্তাহের শুনানির দিন সুবীরেশ কারুর নাম নেন কিনা, তা নিয়ে কৌতূহল দানা বেঁধেছে। দুর্নীতির নতুন তথ্য আসছে কুন্তলকে নিয়েও। সিবিআই সূত্রে খবর, স্কুল নিয়োগে কারসাজি করতে জাল ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে নাম তুলে টাকা নেওয়া হত। হুগলির এক যুব নেতা কার নির্দেশে এই জালিয়াতির চক্র ফেঁদে বসেছিল, তা গোটা রাজ্যবাসীর কাছেই কৌতূহলের কারণ। বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর অজান্তে কিছুই ঘটেনি। জালিয়াতির ৭৫ শতাংশ টাকাই গেছে কালীঘাটে। এই অভিযোগের পুরোটাই তদন্ত সাপেক্ষ। তবে মমতা জমানায় রাজ্যে শিক্ষার এই নগ্ন চেহারা যে কোনও ভাবেই চাপা দেওয়া যাবে না তা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার।
Tags:
Calcutta High court
SSC recruitment scam
SSC
ssc scam
ssc scam news
ssc scam case
bengal ssc scam
bengal ssc scam news
Recruitment scam
west bengal ssc scam
ssc scam west bengal
west bengal ssc scam news
bengal ssc case
teacher recruitment scam in west bengal
west bengal ssc teacher recruitment scam
recruitment scam in west bengal
wb ssc scam probe
ssc scam in bengal
bengal ssc scam case
west bengal ssc recruitment scam
west bengal scam news
Abhisek Ganugly
Abhijit Gangopadhyay Justice