BRATYA_PARTHA
শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় দুর্নীতির দায় কার?
বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় এসএসসি নিয়োগে গুরুতর অসঙ্গতির কথা তাঁর রায়ে উল্লেখ করেছেন
"কিছু শক্তিশালী অদৃশ্য হাত নিশ্চিত ভাবে সক্রিয় ছিল, না হলে এই অঙ্কিতা অধিকারি কোনভাবে অপেক্ষমান তালিকায় যুক্ত হতেন না। সেই হাতগুলোকে খুঁজে বার করতে হবে।"
এই অঙ্কিতা অধিকারি হলেন তৃণমূল সরকারের আরেক মন্ত্রী পরেশ অধিকারির কন্যা। যার চূড়ান্ত স্কোর ৬১ চূড়ান্ত তালিকায় প্রথম নাম অঙ্কিতার। যিনি ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখিই হন নি।
আর যিনি বাদ গেছেন সেই ববিতা সরকারের স্কোর ৭১ তাঁর নাম চলে গেছে অনেক নীচে। ভাইভাতে যার স্কোর ৮, এছাড়া সাবজেক্ট এবং একাডেমিক স্কোরেও যিনি অঙ্কিতার থেকে অনেকটাই এগিয়ে।
১৮ অগাস্ট, ২০১৮
এই ছবি দলে যোগদানের। ২০১৮ সালের ১৮ অগাস্ট তৃণমূল দফতরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা নিয়ে দলে যোগ দেন উত্তরবঙ্গে সিংহ সওয়ারী ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা পরেশ অধিকারি। একদা মন্ত্রী ফ্রন্ট ভাঙ্গিয়ে নিয়ে এসে দলে পয়েন্ট বাড়িয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশে বসে আছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি পরে দল ছাড়বেন। ভোটে হারবেন। ফের ফিরবেন দলে। তবে রাজ্যে জায়গা না হওয়ায় তিনি আপাতত ভিন রাজ্যে সংগঠনের দায়িত্বে।
দলে যোগদান করার কিছু দিনের মধ্যেই শিক্ষাদফরের প্রতিমন্ত্রী হন পরেশ। মানে পার্থ চট্টপাধ্যায়ের অ্যাসিসটেন্ট।
২০২১ এর পর শিক্ষা দফতরের হাতবদলও হয়। ২০১১র শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আবার দায়িত্ব হাতে পান। ইতিমধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্য সরকার। বার বার কলকাতা হাইকোর্টের কাছে ভর্তসনা শুনতে হচ্ছে। এমনই একদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, দুর্নীতির বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না, এটা শিক্ষা দফতরের ব্যাপার তারাই যা বলার বলবেন।
পালটা বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী জানান তিনি দফতরে নতুন ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যিনি মন্ত্রী ছিলেন তিনিই ২০১৬ সালের দুর্নীতি নিয়ে ঠিকঠাক বলতে পারবেন।
শিক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই দুর্নীতি দ্রুত প্রকাশ্যে আসার অনুঘটক দলের ভিতরে ভারসাম্যের লড়াই নয়তো? রাজনৈতিক মহলের ধারণা নইলে এসএসসির আধিকারিক কোর্টে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যোগ্যতা মান পার না করেই কিভাবে চাকরি হয় মন্ত্রী কন্যার।