দুর্নীতি মামলার এজলাস বদলে শাসকের খুশির কারণ আছে?
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ভবিষ্যৎ কী? দুর্নীতি মামলার এজলাস বদলে শাসকের খুশির কারণ আছে? শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশের পর এই প্রশ্ন নিয়েই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি DY চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি PS নরসীমা এদিন নির্দেশ দিয়েছেন, দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরার সিদ্ধান্তের বিষয়টি বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নিতে পারবেন না। অন্য এজলাসে এই মামলা সরাতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঠিক করবেন, কোন এজলাসে এই মামলার শুনানি হবে। দুর্নীতি সংক্রান্ত বাকি মামলাগুলির শুনানিও ওই এজলাসে হতে পারে। তবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা আছে সংশ্লিষ্ট বিচারপতির। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের পর বাংলার শাসক কূলে এমন উচ্ছ্বাস যে মনে হচ্ছে যেন তাঁরা রেহাই পেয়ে গেছেন। কিন্তু সত্যি কি তাই? দুর্নীতি যে হয়েছে, তা তদন্তে স্পষ্ট। কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনা যে মিথ্যা নয়, তা দুনিয়া দেখেছে। তৃণমূলও তা স্বীকার করেছে। পাপস্খালন করতে তড়িঘড়ি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীকে। দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কুন্তল ঘোষ থেকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু অভিষেকের নাম সামনে আসতেই তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে নামিয়ে জেরা ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেহেতু সংবাদমাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়েই মুখ খুলেছেন, তাই তাঁর হাত থেকে অন্য এজলাসে মামলা সরাতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু বিচারপ্রক্রিয়া যাতে বাধা না পায়, তার জন্য বারে বারে সতর্ক করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। তাই মামলা থেকে অভিযুক্তদের রেহাই পাওয়ার প্রশ্ন নেই। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, দোষীরা জেলে যাবেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর যাঁরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে চাইছেন, তাঁরা ভুল করছেন। ব্যক্তির পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু তথ্যের পরিবর্তন হবে না, মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী।
মামলা অন্য এজলাসে সরেছে। তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেভাবে বিচার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তা স্যালুট করার মতো বলে মনে করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রশংসা শোনা গেছে সুকান্ত মজুমদারের মুখেও।
বিচারের আশায় নতুন করে কোমর বাঁধতে চাইছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরাও। তাঁদের চাকরি চুরি গেছে। টাকার বিনিময়ে লুঠ হয়ে গেছে। বার বার সেই তথ্য সামনে এসেছে। যাঁরা এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন, তাঁরাই একে অপরের দিকে এর বিরুদ্ধে তির ছুঁড়েছেন। ফলে,দুর্নীতিতে যে তৃণমূল জড়িত, তার একাধিক তথ্য সামনে এসেছে। তবে এই অভিযুক্তরা কার নির্দেশে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে গোয়েন্দারা। দুর্নীতির পিরামিডের মাথার খোঁজ চলছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর বিচারপতি বদল হলে সেই প্রক্রিয়ায় সাময়িক বিলম্ব হতে পারে। তবে সত্য একদিন সামনে আসবেই। দুর্নীতিগ্রস্তরা শাস্তি পাবেই বলে বিশ্বাস ১৩ কোটি বঙ্গবাসীর।
Tags:
Justice Abhijit Ganguly
Supreme court
Supreme Court of India
ssc scam
Justice Abhijit Gangopadhyay
Recruitment scam
Abhijit Ganguly
abhijit gangopadhyay
justice avijit gangopadhyay
justice abhijit ganguly interview
justice abhijit ganguly news live
justice abhijit ganguly latest news
justice abhijit ganguly news update
abhijit ganguly judge
supreme court on abhijit gangopadhyay
justice abhijit gangopadhyay remove from recruitment scam case
court case
supreme court on ssc scam
abhijit gangopadhyay remove from recruitment scam