বকেয়া DA চাওয়ায় কেন পেনশন বন্ধের হুমকি মুখ্যমন্ত্রীর?
সরকারি কর্মচারীরা ডিএ চাওয়ায় এবার পেনশন বন্ধের হুমকি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া অসম্ভব। টাকা তো আকাশ থেকে পড়বে না। এরপরই কর্মী আন্দোলনের চাপে নুয়ে পড়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, পেনশন কি বন্ধ করে দেব? ন্যায্য ডিএ-র দাবিতে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলছে সরকারি কর্মীদের ধর্না, অনশন আন্দোলন। আন্দোলনরত কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে আজ সেখানে পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভা থেকে হেঁটে ধর্না মঞ্চে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। সেখানেই শুভেন্দু বলেন, ডিএ দিতে বাধ্য হবে সরকার। এরজন্য জরুরি পরিষেবাকে বাইরে রেখে অন্যান্য সরকারি দফতরে তালা ঝোলানোর পরামর্শ দেন তিনি।
শুধু বিজেপি নেতারাই নন, এদিন ধর্নামঞ্চে হাজির হন আইএসএফ বিধায়ক নউশাদ সিদ্দিকিও। আন্দোলনের আঁচ তীব্র হচ্ছে বুঝতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় তাই তিনি বলেন, আমাকে কেটে ফেললেও কেন্দ্রীয় হারে পেনশন দেওয়া সম্ভব নয়। ১০৫ শতাংশ ডিএ দিচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদের পে স্কেল আলাদা। তাই কেটে ফেললেও এর বেশি পাবেন না। তাঁর দাবি, পেনশন না দিলে ২০ হাজার কোটি টাকা বেঁচে যাবে। বিরোধীদের দিকে তাকিয়ে তাঁর মন্তব্য, পেনশন কি বন্ধ করে দেব? ফলে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি তিনি মানতে পারবেন না। তার বদলে পুষিয়ে দেবেন ছুটি দিয়ে। এদিন তাই তাঁর মন্তব্য, দুর্গাপুজোয় ১০ দিন ছুটি, ছট পুজোয় ছুটি। আর কি চান আপনারা? বিরোধীদের অভিযোগ, ছুটির সংস্কৃতি চালু করে এমনিতেই রাজ্যটাকে অচল করে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। চাইছেন মেলা, খেলা আর বিনোদনে সবকিছু খরচা করে শুধু ভোটের রাজনীতি করার। কিন্তু দিনে দিনে তাঁর সেই কৌশল বুঝতে পেরে গেছেন রাজ্যবাসী। তাই নিজের অসহায় অবস্থা বিধানসভায় দাঁড়িয়ে স্বীকার করছেন মুখ্যমন্ত্রী।