মমতার শাসনে কাজের বদলে কামড়?
বাংলায় একটা পুরনো প্রবাদ আছে। ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই। তৃণমূল জমানায় বাংলা (MAMATA Ruled Bangla) জুড়ে এখন সেই ছবি। কাজের বদলে কামড়। টেট আন্দোলন (TET Agitation) দমনে এতদিন পুলিশি অত্যাচারের (police atrocity) অনেক ছবি সামনে এসেছে। তবে এবারে আগের গুলোকে ছাপিয়ে গেছে। আন্দোলনকারীর (TET aspirant) হাতে কামড় (police bite) বসিয়ে দিয়েছে খোদ পুলিশ কর্মীই। টেটে চাকরি না পেয়ে এবার টেটভ্যাক নিতে হচ্ছে ওই চাকরিপ্রার্থীকে। কিন্তু এখানেই ক্ষান্ত থাকেনি প্রশাসন, ওই আন্দোলনকারীকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা সহ আনা হয়েছে একাধিক ধারায় মামলা।
২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলনে বুধবার ঘুম উড়ে যায় পুলিশ প্রশাসনের। এক্সাইড মোড় থেকে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের দফতর,সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশন, অবস্থান বিক্ষোভকে সামাল দিতে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে পুলিশ। চলে কিল, চড়, লাঠি, এমনকি কামড়ও। শিক্ষায় নজিরবিহীন দুর্নীতির ফলে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে মমতা প্রশাসন, তা থেকে নিষ্কৃতির তল খুঁজে পাচ্ছে না সরকার।
পরীক্ষায় পাশ করেও ন্যায্য চাকরির আশায় হা পিত্যেশ করে আন্দোলন করে যাচ্ছেন কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী।চাকরি তো মিলছেই না, উল্টে জুটছে নির্যাতন। আর এবার পুলিশের কামড়। পুলিশের ভূমিকায় সোচ্চার হয়েছে বিরোধী সবপক্ষই। সবকিছু হাতের বাইরে চলে গেছে বলে সরকার সবাইকে কামড়াচ্ছে। সহ্যের সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে । আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ।
আসলে প্রতিপক্ষের কাছে দিশাহারা অবস্থা তৈরি হয়, তখনই কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে মানুষ এমন কাজ করে। এই কামড় বসানোর ঘটনা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দেখা গেছে। ফুটবলে এনিয়ে কুখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন উরুগুয়ের সুয়ারেজ। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ ইতালির চিলিনিকে কামড়ে দেন তিনি। শেষ হয়ে যায় সুয়ারেজের বিশ্বকাপ মিশন। শুধু এখানেই নয়, এরপরও বারবার সুয়ারেজকে এই ভূমিকায় দেখা গেছে। একই ছবি দেখা যায় বক্সিংয়েও। ১৯৯৭ সালে মাইক টাইসন উত্তেজনার মুহূর্তে কামড় বসান হলিফিল্ডের কানে। এরপর ১ বছরের জন্য সাসপেন্ড হন তিনি। ফুটবল, বক্সিংয়ের পাশাপাশি রাগবি ম্যাচেও এমন ঘটনা চোখে পড়েছে। আসলে নিজের প্রতি আস্থা যখন কমে যায়, তখনই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যা চোখে পড়ছে বর্তমান বাংলায়।
ইতিহাসের পাতায় আমরা যদি নজর দিই, তাহলে কামড় না হলেও দেখতে পাব বিখ্যাত আঁচড়ের ঘটনা। সন্ধি পাতানোর অছিলায় শিবাজিকে ডেকে পাঠান আফজল খাঁ। শিবাজি এলে তাঁকে আলিঙ্গনের কায়দায় জড়িয়ে ধরে তরোয়াল দিয়ে খুন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আফজলের ফন্দি আগাম টের পেয়েছিলেন মারাঠা রাজ। তিনি বুকে পরে নিয়েছিলেন লোহার বর্ম। তাই কাবু করতে পারেনি আফজল। উল্টে বাঘনখ দিয়ে আফজল খাঁকে হত্যা করেন শিবাজি। ধরা পড়ে যায় ষড়যন্ত্র। ইতিহাসের পাতায় ধরা থাকে সুলতানি চক্রান্তের কথা।
আজ যখন চাকরিপ্রার্থীদের দমন করতে এভাবে কামড় বসাচ্ছে পুলিশ, তখন যেন বার্তা পাঠাচ্ছে ইতিহাস। দুর্নীতি কেলেঙ্কারি চাপা দিতে কীভাবে মরিয়া হয়ে উঠেছে মমতা সরকার, তা স্পষ্ট হচ্ছে প্রতি দিন। চলছে চক্রান্তের খেলা। যেনতেন প্রকারেণ আন্দোলনকারীদের দমনই একমাত্র লক্ষ্য হয়ে উঠেছে তৃণমূল সরকারের।
Tags:
agitation
tet
TET SCAM
ssc agitation
TET agitation
TET news
tet agitation news
tet candidate agitation
primary tet agitation
tet job seekers agitation
tet news update
job seekers agitation
salt lake agitation
saltlake tet agitation news
saltlake agitation
tet job seekers agitation
tet aspirants get police bite
no work only police bite
police atrocities on ter protesters
tet job seeker agitation
slst agitation
agitation at karunamoyee
exide agitation