আক্রমণাত্মক দেবব্রত রায়
সাংবাদিকদের কাছে খবর ছিল। প্রাথমিকে শিক্ষকের চাকরি পেতে কাউকে কাউকে টাকা দিয়েছিলেন রায়গঞ্জের বাসিন্দা দেবব্রত দাস। বাজিতপুরে দেবব্রতর বাড়িতে পৌছে গেছিলেন জেলার সাংবাদিকরা।
শুনলেন তো নিজের মুখেই স্বীকারোক্তি। তার আগে অবশ্য দেবব্রতর বাবাও স্বীকার করেছিলেন বেকার ছেলের চাকরির জন্য তিনি টাকা দিয়েছিলেন। একদুই নয়! রীতিমত চার লক্ষের বেশি টাকায় ডিল হয়েছিল দুপক্ষের। দেবব্রতর বাবা জানিয়েছিলেন, যদিও সে চাকরি ছেলের জোটেনি। পরে তার ছেলে পুলিশে চাকরি পেয়ে যায়। কি ভাবে...? তা অবশ্য বলেননি তিনি। টেট দুর্নীতির মামলায়, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে, রাজ্যের ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি যায়। এরা সবাই যোগ্যতায় চাকরি অর্জন করেননি, প্রাইমারির চাকরি কিনেছিলেন টাকার জোরে। উত্তর দিনাজপুরেও ৪০ প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে আদালত। এই প্রতারণা চক্রের খোঁজ পেতেই সাংবাদিকরা গেছিলেন বাজিতপুর। প্রশ্ন ছিল কারা টাকা নিয়েছে? এরপরই বেঁকে বসে দেবব্রত। শুরু হয় গালাগালি। বাবাকে সরিয়ে নিজেই আসেন ক্যামেরার সামনে। পেশাকে গালাগালিও মেনে নিয়েছিলেন সাংবাদিকরা। কারণ আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু তারপর যা করলেন দেবব্রত নিজের চোখেই দেখুন; পুলিশের কর্মী। তাই হয়তো তেজ বেশি। দাপট আরও বেশি। শুনুন মেজাজ হারানোর আগে ঠাণ্ডা মাথায় আরও ঠিক কি কি বলেছেন দেবব্রত পুলিশ কমিশনারেট সম্পর্কে। এবার দেখুন নিজেই নিজের বাবাকে ধাক্কা মারলেন তিনি পড়ে গেলেন। চাকরি কিনতে চাওয়া দেবব্রত সরাসরি আক্রমন করলেন সাংবাদিকদের। পরে যদিও সবটাই অস্বীকার করেন সদ্য পুলিশে চাকরি পাওয়া দেবব্রত রায়। তাও দেখুন আহত হন বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা। তবু জমি ছাড়েননি। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশে। ... পুলিশ গ্রেফতার করে দেবব্রত দাস নামে ওই উশৃংখল যুবককে আহত সাংবাদিকদের রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ঘটনার নিন্দা করেছেন উত্তর দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সম্পাদক সভাপতি। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা করেন রায়গঞ্জ পুরসভার উপ প্রশাসক অরিন্দম সরকারও।