WhatsApp_Image_2022-09-27_at_2134.17
মঙ্গলবারই গ্রেফতার হতে পারেন মানিক ভট্টাচার্য?
এমন জল্পনার তুঙ্গে ছিল রাজ্য রাজনীতি। তবে এক দিনের জন্য আপাত স্বস্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, বুধবার পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না মানিককে। যদিও মানিককে সিবিআই দফতরের হাজিরা দেওয়ার যে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্ট দিয়েছিল, তা বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দাখিল করেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চ এবং পরে ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছে, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই আবেদন জানান তিনি। ২৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। সেখানেই ওই রায় দেওয়া হয়।
২৬ সেপ্টেম্বরই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়, টেট দুর্নীতি মামলায় এক নির্দেশে জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই রাত আটটার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভটাচার্যকে। তদন্তে অসহযোগিতা করলে মানিক ভট্টাচার্যকে নিজের হেফাজতেও নিতে পারবে সিবিআই। অভিযোগ ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওআরএম শিট নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ জমা পড়ে আদালতে। সেই মামলায় বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়, উত্তরপত্র পরীক্ষার জন্য চেয়ে পাঠানো হয়। জানা যায় প্রায় ১২ লক্ষ ওআরএম শিট বা টেটের উত্তরপত্র নষ্ট করা হয়েছে। কেন এমন বিপুল পরিমাণ টেটের উত্তরপত্র নষ্ট করা হল সে বিষয়ে এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে।
----তদন্তে যে প্রশ্নগুলো খুঁজতে হবে সিবিআইকে
আইন মেনেই কি নষ্ট করা হয়েছিল ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট?
কী ভাবেই বা নষ্ট করা হল ১২ লক্ষ ওএমআর শিট?
কার নির্দেশে কোন সময়ে নষ্ট করা হয়েছিল ওএমআর শিট?
সেই সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভটাচার্য। টেট দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার কারণে যাকে পরে পদ থেকে অপসারণ করে আদালত। প্রশ্ন হল কার নির্দেশে নষ্ট করা হয়েছিল ওআরএম শিট। সভাপতির নির্দেশে নাকি তারও ওপর থেকে এসেছিল নির্দেশ? মূল প্রশ্ন এটাই।
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার পায় সিবিআই। পরে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে যে সমস্ত শিক্ষক নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তাঁদের সমস্ত নিয়োগপত্র-সহ যাবতীয় নথি হাতে পায় সিবিআই। এই মামলায় একাধিক গ্রেফতারির ঘটনাও ঘটেছে। এ বার উত্তরপত্র-বিতর্কে পদক্ষেপ করল আদালত।
গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে নদিয়ার পলাশিপাড়া থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন মানিক ভট্টাচার্য।
Tags:
Madhyom
bangla news
Bengali news
Primary TET Scam
TET SCAM
Manik Bhattacharya
TMC MLA Manik
Bangla khabor
high court on manik bhattacharya
manik bhattachrya
tet scam news
manik bhattacharya ed
manik bhattacharya mla tmc
manik bhattacharya may arrested
west bengal primary tet scam
manik bhattarcharya news
supreme court gives relief
SC Relief to Manik for a day
cbi probe on tet
High Court directs Manik
primary teacher recruitment
orm sheet
abhijit gangopadhyay
manik bhattacharya cbi