তৃণমূলের বিধায়ক মানিককে শুনতে হল 'চোর' দেখতে হল জুতো
এই ছবি আজকের। এই ছবি ব্যাঙ্কশাল কোর্টের। ঠিক যখন আদালতে পেশ করার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে।
সাংবাদিকরা ক্যামেরা তাক করার সময়টুকুও পাননি। মানিককে নিয়ে আসা হচ্ছে শুনেই চোর-চোর চিৎকারে ফেটে পড়লেন সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ জুতো খুলে দেখালেন রাজ্যের একদা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে।
সোমবার শেষ রাতেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে একটানা জেরার পর সোমবার শেষ রাতে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। মঙ্গলবার শারীরিক পরীক্ষার পরে তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে আদালত চত্বর।
আদালত চত্বরে গাড়ি ঢুকতেই মানিককে ঘিরে উঠল ‘চোর চোর’ রব। পাশাপাশি জুতো দেখিয়েও বিক্ষোভ দেখানো হয়। পার্থ অনুব্রত এসপি সিনহা কল্যাণময়ের পর মানিককেও শুনতে হল চোর চিৎকার। দেখতে হল জুতো।
কে এই তৃণমূলের 'মানিক'?
"দলের লোক হলে ছেলেমেয়েদের চাকরি হবে" মানিক ভট্টাচার্য,
২০১৪ লোকসভা নির্বাচন অর্পিতা ঘোষের সমর্থনে জনসভায়
রাখঢাক না করে প্রকাশ্যেই বলতেন তৃণমূলের মানিক!
পলাশিপাড়ার জয়ী দলীয় বিধায়ক তাপস সাহাকে তেহট্টে সরিয়ে নিশ্চিত আসন থেকে মানিককে জিতিয়ে বিধানসভায় এনেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের বছরই মানিককে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি করা হয়। ২০২২এ জুন মাস পর্যন্ত, টানা ১১ বছর, তিনিই ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সর্বেসর্বা। চলতি বছরে,শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে রাজ্যে শোরগোল পড়ে। তখনই প্রাথমিকে শিক্ষক দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়ায়।
প্রাথমিকের পাশাপাশি, নবম-দশম এবং একদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। আদালতের নির্দেশে, সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার পর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মানিককে একাধিক বার তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রতিবারই কোন না কোন অজুহাতে জেরা এড়িয়েছেন মানিক। এমনকি পুজোর আগেই সুপ্রিম কোর্টের সুরক্ষা কবচে সিবিআই গ্রেফতারি এড়িয়েছিলেন। পালিয়ে ছিলেন দিল্লিতে। ইডির জন্য কোন রক্ষা কবচ ছিল না মানিকের। সূত্র জানাচ্ছে, নিজের গ্রেফতারি পরোয়ানায় নাকি সই করেননি মানিক।
ইডি আদালতে জানিয়েছে মানিকের ছেলের নামে একটি কোম্পানির হদিশ মিলেছে। যার অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিশ মিলেছে। পরিবারের লোকের সঙ্গে বাইরের লোকের একাধিক জয়েন্ট অ্যা কাউন্টের হদিশ মিলেছে। কম্পিউটার হার্ড ডিস্কে মিলেছে অসংখ্য চাকরি প্রার্থী ও টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে। মানিকের মোবাইল পরীক্ষা করেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। জানা গেছে, তিনি একজনের নির্দেশেই চলতেন। যার অঙ্গুলি হেলনে নিশ্চিত বিধায়ক সিট বরাদ্দ হয়েছিল মানিকের জন্য।
Tags:
bjp
Madhyom
tmc
bangla news
Bengali news
ssc scam
Primary TET Scam
scam
West Bengal Board of Primary Education
TET SCAM
Manik Bhattacharya
Bangla khabor
high court on manik bhattacharya
manik bhattachrya
tet scam news
manik bhattacharya ed
manik bhattacharya mla tmc
manik bhattarcharya news
education scams
tetscam
exam scam
tet exam scam
nadia tet scam
exam scam case
exam scam news
tet scam update
bengal tet scam
exam paper scam
tet scam updates
exam scam update
tet exam scam case
tet exam scam news
tet paper exam scam
tet exam paper scam
manik bhattacharya news
manik bhattacharya sacked
manik bhattacharya comment
tmc mla manik bhattacharya
thief slogan
shown shoes
manik bhattacharya arrested
wbbpe ex president