কলকাতা চিড়িয়াখানায় খাঁচা গলে বাইরে শিম্পাঞ্জি 'বুড়ি'
এ আপনাদের ভারি অন্যায়। এই খানেই জন্ম কর্ম। এইখানেই বাস। এখানেই বড় হওয়া। আর আপনারা কিনা আমাকেই ঘাড় ধরে ঢুকিয়ে দিলেন খাঁচায়! না হয় আজ সক্কাল সক্কাল মন ভাল ছিল তাই আমার খাঁচার পাহারাদারের সঙ্গে গল্পগুজব করতে ফাঁকা বেড়া দিয়ে বেরিয়ে এসেছিলাম। এতো আমি হরবখত করি। আপনাদের চোখের সামনে হয় না বলে আপনারা জানতেও পারেন না। আজ একটু টাইমিং-এ গণ্ডগোল। যখন গার্ডদাদাকে দেখলাম অমনি বেরিয়ে এলাম। বিদ্যুৎ বেড়ায় শক খেতে খেতে বেঁচে গেছি। জানতাম না যে, ততক্ষণে আপনারা ঢুকে পড়েছেন। ব্যাস অমনি হৈচৈ ! কানে থুরি হাতে ধরে ফের খাঁচায় ঢুকিয়ে দিল সবাই। কি বুঝলেন? স্যারও আমাকে চেনেন। জানেন। আমার নাম বুড়ি। মাঝে মাঝে আমি যে একটু ফক্কুড়ি দুষ্টুমি করি জানে সব্বাই। তবে সমস্যাটা কি জানেন, চিড়িয়াখানায় যারা আমাকে দেখতে আসেন, তাঁরা তো জানতেই পারে না বন্দী জীবনটা কি বিরক্তিকর! তাই ভাবলাম...