Bangladeshi_Candidate
এপারের ভোটে লড়ছে ওপার বাংলার নাগরিক! একুশের বিধানসভা নির্বাচনেই এমন কাণ্ড ঘটেছে খোদ এরাজ্যে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সেই প্রার্থী। নাম আলো রানী সরকার। যদিও বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে দু'হাজার ভোটে হেরে যান, এই আলো রানী সরকার। এরপরই বিপদ! নির্বাচন কমিশনের গণনার ফলাফল তিনি মানবেন না। আলো রানীর দাবি, তিনি জিতেছেন। চোট্টামি করে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিক তাঁর নেত্রীর মতো। ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
আজই কলকাতা হাইকোর্ট তৃণমূল প্রার্থী আলো রানী সরকারের আবেদন খারিজ করে জানিয়েছে, ভোটে জেতা তো দূরের কথা, তাঁর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ারই কোন যোগ্যতা নেই। কারণ হিসেবে বিচারপতি জানিয়েছেন, "আলো রানী সরকার বাংলাদেশের নাগরিক। নাম রয়েছে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়।" জানা গেছে বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় জন্ম আলোরানীর। তাঁর ভাই-মা এখনও বরিশালের পিরোজপুরের বাসিন্দা। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের বাসিন্দা চিকিৎসক হরেন্দ্রনাথ সরকারের সঙ্গে আলো রানীর বিয়ে হয়। নির্বাচনের সময় তৃণমূল প্রার্থী আলো রানীর দাবি ছিল, তাঁর জন্ম হুগলির বৈদ্যবাটিতে, বিয়ের পর তাঁর নাম কোনও ভাবে বাংলাদেশের ভোটার কার্ডে উঠে যায়। তিনি প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়েছেন। যদিও এই মর্মে কোনও প্রামাণ্য নথিই তিনি জমা করতে পারেননি আদালতে। এমনকি তাঁর জন্মস্থান নিয়েও সত্য বলেননি তিনি।
কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি তাঁর রায়ে জানিয়েছেন,ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, আলোরানী সরকারের বাংলায় তো বটেই, ভারতের কোনও প্রান্তে কোনও নির্বাচনেই প্রার্থী হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই। তিনি জন্মসূত্রেও ভারতীয় নয়। গোটা বিষয়টি ট্যুইট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, যে রাজনৈতিক দল একজন বাংলাদেশিকে নির্বাচনে প্রার্থী করতে পারে, সে রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে না কেন?