শরিফুলের মাটির বাড়ি
টিনের চাল, মাটির বাড়ি। পাশে টালির চালের এক আস্তানা। সেখানে ঝুলছে প্লাস্টিকের আচ্ছাদন। এক শতচ্ছিন্ন ঘর। ততটাই এলোমেলো চারপাশ। দেখলেই বোঝা যায় সুন্দরবনের হাজার হাজার মানুষের মতো এই পরিবারটিরও লড়াই দারিদ্রের সঙ্গে। কিন্তু এ হেন ঘরের মালিকের নামেই অর্ডার বুক হয়েছে ২০০ কোটি টাকার হেরোইন (heroin)।
সুন্দরবনের সন্দেশখালি (sandeshkhali)। সেখানকার জোলিয়াখালিতেই থাকত শরিফুল (shariful)। আপাতত নিরুদ্দেশ। কিন্তু কে এই শরিফুল মোল্লা? তা এতদিনে নিশ্চয়ই জেনে গেছেন। না হলে দেখে নিন আমাদের আগের প্রতিবেদনগুলি। মাদক (drug) কারবারের সঙ্গে বাংলার শাসক দলের যে নাম জড়িয়ে গেছে, তার নেপথ্যে এই শরিফুল মোল্লাই। শরিফুল এন্টারপ্রাইজের (shariful enterprize) নামেই আফগানিস্তান, পাকিস্তান, দুবাই হয়ে হেরোইন আসছিল জোলিয়াখালিতে। কলকাতা বন্দরে তা আটক করেছে গুজরাট এটিএস ও ডাইরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স বা ডিআরআই। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০ কেজি হেরোইন। আর কেঁচো খুঁড়তেই বেরিয়ে পড়েছে কেউটে। জানা যাচ্ছে, শরিফুল ইসলাম খুবই ঘনিষ্ঠ সন্দেশখালি ব্লকের তৃণমূল সভাপতির। সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি (sandeshkhali tmc block president) শেখ সাজাহান ও ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি শিবুপ্রসাদ হাজরার খুবই কাছের শরিফুল। বিজেপি সূত্রে খবর, বন্দরে আটক হেরোইন উদ্ধারের জন্য রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে বহুবার বৈঠক করেছেন শেখ সাজাহান। সেই মন্ত্রী তদ্বির করেছেন আর এক বড়মন্ত্রীর কাছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এই হেরোইনের জন্য কে বিনিয়োগ করেছিল টাকা? সামান্য এক নৌকা ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে এত টাকা বিনিয়োগ করা যে সম্ভব নয়, তা সবাই বুঝতে পারছে। এই ঘর দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের ক্ষমতা নেই শরিফুলের। তাহলে তার হয়ে টাকা খাটাচ্ছেন কোন তৃণমূল নেতা? এই প্রশ্নই তুলছে বিজেপি।
জানা যাচ্ছে, হেরোইন আটকের খবর সামনে আসতেই বাংলাদেশে পালিয়েছে শরিফুল। তাকে সাহায্য করেছে রাজু নামের একজন। বিশদ তথ্য সামনে আনার অপেক্ষায় গোয়েন্দারা। গরু পাচার, কয়লা পাচারের পর এবার বাংলাকে মাদকের নেশায় ডোবাতে কোন কোন তৃণমূল নেতা সচেষ্ট, আর তাঁরা কার অঙ্গুলি হেলনে এই কাজ করে যাচ্ছে, তা এবার সামনে আসবে। নজর রাখুন আমাদের নিউজ পোর্টাল মাধ্যম.কমে (WWW.MADHYOM.COM)। কোন কোন তৃণমূল নেতা এই ড্রাগ চক্র চালাচ্ছে, তা খোলসা করব আমরা।