শান্তনু সেনের মেয়ের রেজাল্ট
শিক্ষায় আর এক কেলেঙ্কারি? খোদ রাজ্য বিজেপি সভাপতির এক অভিযোগকে ঘিরে তুলকালাম রাজ্য রাজনীতি। এবারের অভিযোগ ডাক্তারিতে ভর্তি নিয়ে। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের (Santanu Sen) মেয়ে সৌমিলি সেন ডাক্তারি পড়ছেন আরজিকরে। সুকান্তের অভিযোগ, পুরোপুরি নিয়ম বহির্ভূতভাবে এই ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন শান্তনু কন্যা। তাঁর টুইট থেকে জানা যাচ্ছে, তৃণমূল সাংসদের (TMC MP) মেয়ের মেডিকেলে স্থান ১ লক্ষ ২১ হাজার ৪৭৩। ৭২০-র মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৪৬১। এই rank করে যে মেডিকেলে চান্স পাওয়া যায় না তা পরিষ্কার। মেডিকেল পড়ুয়ারা বলছেন, ৬০০-র ওপরে নম্বর পেলে সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ থাকে। ৫৮০-র নীচে এই সম্ভাবনা একেবারেই কম। সেক্ষেত্রে বেসরকারি ও ডিমড মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ থাকে। শান্তনু সেনের কন্যা যেমন কম নম্বর পেয়েছেন, তেমনি তাঁর rank স্বাভাবিক ভাবেই নীচের দিকে আছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, এত কম নম্বর পেয়েও কীভাবে আরজি কর মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন সৌমিলি সেন? এখানও কি দুর্নীতিকর ছোঁয়া?
এই টুইটের পর শান্তনু সেনও পাল্টা টুইট করেন। তিনি জানান, তাঁর কন্যা মেধাবী। মেধার জেরেই তিনি সুযোগ পেয়েছেন। নিট পাশ না করলে ডাক্তারি পড়বে কী করে, সেই প্রশ্নও তোলেন তৃণমূল সাংসদ। তখন আর একটি তথ্য সামনে আসে। আরটিআই করে জানা যায়, সুবর্ণ বণিক সমাজের কোটায় ভর্তি হয়েছেন সৌমিলি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তাঁর বাবার বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৩ লক্ষ টাকার কম। অথচ, শান্তনু সেন তাঁর যে আয় দেখিয়েছেন, তা বার্ষিক ৭ লক্ষ টাকা। ফলে এই তথ্য বিভ্রান্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সম্পাদক হওয়ায় কি মেয়ের জন্য বিশেষ সুযোগ নিয়েছেন শান্তনু সেন? তাঁর উচ্চাশাই কি মেয়েকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে?
প্রশ্ন উঠছে আরও। ১৯২২ সালের ২০ জুন মেডিকেলে ভর্তির জন্য এই কোটা তৈরি হয়। একে বলা হয় ডোনার্স কোটা। তখনকার কারমাইকেল কলেজ বা আজকের আর জি কর কলেজে ৪টি মেডিকেল সিট বরাদ্দ হয় সুবর্ণ বণিক সমাজ ট্রাস্টের নামে। সেই প্রথা আজও কেন টিকে আছে, সেটাও বড় প্রশ্ন। এরমধ্যেই তামিলনাডু এধরনের কোটায় ভর্তি অনেকদিন বন্ধ করে দিয়েছে। আজ যখন মেডিকেলে ভর্তির জন্য এত প্রতিযোগিতা, তখন ১০০ বছরের আগের ওই নিয়ম কেন চলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, এই কোটার সুযোগ নিয়ে প্রভাবশালীরা তাঁদের পুত্র-কন্যাদের ভর্তি করছেন বলেও। তাই তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন যতই নিয়ম মেনে ভর্তির দোহাই দিন, নৈতিকতার দিক দিয়ে এটা যে কত বড় অন্যায়, তা সবাই বোঝে। আর তাই প্রশ্ন ওঠে, সরকারে আছেন বলেই কি যা ইচ্ছা তাই করে যাবেন তৃণমূল নেতারা? শিক্ষায় কেলেঙ্কারির পর মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে এই শঠতা শাসককে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
Tags:
Santanu Sen
Shantanu sen
mp santanu sen
tmc mp santanu sen
santunu sen
tmc mp shantanu sen
tmc mp santanu sen news today
santanu sen mp
dr santanu sen
santanu sen tmc
sukanta majumder vs shantanu sen
santunu sen daughters news
santunu sen daughter's medical admission
medical kota
subarna banik samaj trust
subarana banik samaj medical kota
rg kar