ভোট পরবর্তী হিংসার ২ বছর, কী হয়েছিল সেদিন?
২০২১,২মে। বাংলায় সেদিন ছিল বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা। সংসদীয় ভাষায়, গণতন্ত্রের উৎসব। কিন্তু শাসকের তর্জনি হেলনে তা যে গণতন্ত্রের শ্মশানে পরিণত হবে, তা কি কেউ ভাবতে পেরেছিল?ভোটের ফল ঘোষণার দিনই খুন হন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। ভোটের আগে থেকেই হুমকি পাচ্ছিলেন তিনি। ফেসবুকে খুন হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। অদ্ভূত ভাবে হাত গুটিয়ে রেখেছিল প্রশাসন। শুধু অভিজিৎ নন, রাজ্য জুড়ে সেবার খুন হয়ে গিয়েছিলেন ৫৬ জন বিজেপি কর্মী। নিষ্কৃতি পাননি বয়স্ক মহিলারাও। ছেলের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে জগদ্দলে খুন হন ৮০ বছরের শোভারানি মণ্ডল। ছাপড়ায় খুন হন ধর্ম মণ্ডল, ফলতায় অরিন্দম মিদ্দা, বারাসতে জ্যোৎস্না মল্লিক, রাজারহাট গোপালপুরে প্রসেনিজিৎ দাস। এ যেন এক নৈরাজ্যের রাজত্ব। দশ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও মমতা সরকার সেদিন কেন এত নির্মমতার নজির সৃষ্টি করেছিল, তা সারা দেশের কাছেই ছিল বিষ্ময়ের। দক্ষিণ বঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গ। আতঙ্কের এক স্রোত বইছিল সেই সময়। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বদলা নয়, বদল চাই। কিন্তু ভোট এলেই তা যেন বিদ্রুপের মতো ছড়িয়ে পড়ে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলায় ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর ১১টি খুনের মামলা দায়ের হয়েছিল। রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল ৬৯৩টি। ওই বছর ১ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছিল ৬১ জনের। সেসব দেখেই ২০২১ সালে ৮ দফায় ভোট হয় বাংলায় কিন্তু তাও আটকানো যায়নি হিংসা। বিরোধীদের অভিযোগ, বিরোধীদের শেষ করার নির্দেশ ছিল ওপর মহল থেকেই। তাঁরা সামনে এনেছিলেন অভিষেকের ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি।
সর্বোচ্চ স্তর থেকে এই ধরণের হুঁশিয়ারি আসার পরই রাজ্য জুড়ে তাণ্ডব চালাতে শুরু করে তৃণমূল নেতা কর্মীরা। সিতাই থেকে ভাতার, কোতলপুর থেকে ডায়মন্ড হারবার। খুন, হামলা আর ভাঙচুরের খেলায় মেতে উঠেছিল শাসক দল। গত দু বছরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। কেলেঙ্কারির বন্যায় ভেসে যেতে বসেছে তৃণমূল। তবু পুলিশকে সঙ্গী করে হিংসার হুঁশিয়ারি চলছে সর্বত্র। বিরোধীরা মার খেলে প্রশাসন যেন চোখ বন্ধ করে রাখছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, পিসি-ভাইপোকে নিরাপত্তা দিতেই ব্যস্ত আছে প্রশাসন। তাই অভিষেকের জন সংযোগে নামাতে হচ্ছে পুলিশ। আর হামলা হচ্ছে রামনবমীর মিছিলে। বিজেপি নেতারা বলছেন, সত্য সেলুকাস!কী বিচিত্র এই মমতা রাজ। পঞ্চায়েত নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করতে তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বিপাকে পড়ে, ভোটের নামগন্ধই এখন করছে না শাসক। তবে দু বছর আগে বাংলা জুড়ে যে হিংসার ঝড় তুলেছিল তারা, তার ক্ষত চিহ্নই এখন তাদের ভাবাচ্ছে। সন্ত্রাস চালিয়ে যে বেশিদিন ক্ষমতা ধরে রাখা যায় না, তা যেন তলে তলে টের পাচ্ছে তৃণমূল।
Tags:
bjp
West Bengal news
Mamata Banerjee
tmc
West Bengal police
BJP West Bengal
Bengal BJP
West Bengal
West Bengal BJP
BJP in West Bengal
Bengal news
Bengali news
North bengal
west Bengal violence
BJP Bengal
west bengal news today
bjp vs tmc
bengal violence
bengal election violence
west bengal latest news
bengali latest news
todays bengali news
west bengal elections
latest west bengal news
bengal bjp news
west bengal violence case
violence in bengal today
violence bjp
north bengal bjp
bjp strike in north bengal
bjp leader killed in bengal
north bengal strike
north bengal bandh
bjp rally in west bengal