WBCHSE_circular_
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক সংগঠনগুলির প্রবল চাপে ২৪ ঘণ্টায় মধ্যে পেছু হটল পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBCHSE)।
শনিবার উচ্চমাধ্যমিক কাউন্সিলের সার্কুলারের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে সর্বত্র। প্রশ্ন ওঠে, কোন যুক্তিতে এক ধাক্কায় একাদশের ছাত্র সংখ্যা ২৭৫ থেকে বাড়িয়ে ৪০০ করা হয়? শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি এখন বেশির ভাগ স্কুলে ছাত্র শিক্ষক রেশিও গড়ে ১২০:১। অর্থাৎ ১২০ ছাত্রছাত্রী পিছু শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা মাত্র এক।
ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওপর অকারণ চাপ বাড়ানো হচ্ছে। দ্বিতীয় সমস্যা হল রাজ্যে বেশিরভাগ স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকাই নেই। স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা অপ্রতুল। অনেক স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ৪০% থেকে ৬০% কম।
তার ওপর রাজ্য জুড়ে ২০১১ থেকে কোনও স্তরেই কোনও শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না দীর্ঘদিন, সরকারের পক্ষের শিক্ষক সংগঠনগুলিও তীব্র সমালোচনা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের ঝড় ওঠে। প্রবল চাপের মুখে পড়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, রবিবারই চলে আসে ব্যাখ্যামূলক দ্বিতীয় সার্কুলার।
এই সার্কুলারে জানানো হয় বাড়তি একটি লাইন। যে যে স্কুলে পরিকাঠামো আছে সেই স্কুলে রাজ্য সরকার শিক্ষা দফতর পরিচালিত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সার্কুলার মেনে চলতে হবে।
বোঝা গেল সরকার ভর্তির জল আরও ঘুলিয়ে খেতে ইচ্ছুক! প্রশ্ন হল, কোন স্কুলে কি কি পরিকাঠামো ঠিকঠাক আছে তা কে ঠিক করবে? স্থানীয় কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদ নাকি স্কুল পরিচালন কমিটির কর্তা? বাস্তব চিত্র হল, রাজ্যের কোনও স্কুলই ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ৪০:১ নয়। শিক্ষকরা তাও নিজেদের সহনশীলতা পরিশ্রম কয়েকগুণ বাড়িয়ে চেষ্টা করছেন। কিন্তু আর কতদিন টানবেন?
শিক্ষকদের কাঁধে বন্দুক রেখে আর কতদিন চালাবেন পর্ষদ? বেড়ালের নয়, অন্ধ রাজার গলায় ঘণ্টা বাঁধবেন কে?