শিক্ষা দুর্নীতিতে জেলায় জেলায় এজেন্ট,সুবিধাভোগী কারা?
শিক্ষা দুর্নীতিতে জালে ৭ এজেন্ট। কোন এজেন্ট? দেখুন একে একে। তাপস মণ্ডল। কুন্তল ঘোষ। আব্দুল খালেক। শেখ সাহিদ ইমাম, শেখ আলি ইমাম, কৌশিক ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৭ জনকেই সোমবার পেশ করা হয় আদালতে। ধৃত তাপস মণ্ডল,কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাকি চার অভিযুক্তের ২রা মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুন্তলকে আগেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। এবার হেফাজতে নিল সিবিআই। জল যেভাবে গড়াচ্ছে, তাতে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে কর্পোরেট কায়দায় জেলায় জেলায় এজেন্ট নিয়োগ করা হয়েছিল। তারা আবার রিক্রুট করেছিল সাব এজেন্ট। মানে পেশাদারি কায়দায় একটা দুর্নীতি চক্র চলছিল শাসকের মদতে। কেউ সেখানে জড়িত ছিলেন সরাসরি। আবার কেউ দূর থেকেই দেখছিলেন মজা। সরকারি তত্ত্বাবধানে দুর্নীতি সামনে আসতেই এখন নানা প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে ধৃতদের মুখ থেকে। প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস বলছেন, আমি কোথায় টাকা নিলাম! টাকা নিয়েছে কুন্তল ঘোষ।
তাপস দোষ দিচ্ছেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলকে। আবার কুন্তল দোষ চাপাচ্ছেন তাপসের ঘাড়ে। তাপস গ্রেফতার হওয়ায় তিনি যে খুশি তা জানাতেও ভোলেননি কুন্তল। অর্থাৎ, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ মানিকের কাছের লোক আঙুল তুলছেন কুন্তলের দিকে। আবার একদা অভিষেক ঘনিষ্ঠ যুবর নেতা কুন্তল দোষ চাপাচ্ছেন তাপসের ঘাড়ে। ফলে দুর্নীতিতে এক পক্ষ যে অপর পক্ষকে কাঠগড়ায় তুলতে প্রস্তুত, তা স্পষ্ট। এরমধ্যেই ধৃত তিন জন গোপন জবানবন্দি দিতে চেয়েছেন। এই তিনজন হলেন শাহিদ ইমাম,আলি ইমাম ও কৌশিক ঘোষ। তাদের থেকে জানা যেতে পারে,কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে এই টাকা পৌঁছেছে। ধৃতদের জেরা করেই গোয়েন্দারা বুঝতে চাইছেন,এই কেলেঙ্কারির প্রকৃত সুবিধাভোগী কারা? সিবিআই তথ্য বলছে,বেআইনি চাকরির নামে ৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা তুলেছে শেখ আলি ইমাম। শেখ শাহিদ ইমাম তুলেছে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। আর কৌশিক ঘোষ তুলেছে ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। কোন হাতে এই টাকা কীভাবে পৌঁছেছে, তা তারা মুখ খুললেই বোঝা যাবে। তদন্তকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছেন তাপস মণ্ডল। এরমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বাগদার চন্দন মণ্ডল। সকলের কাছেই হদিশ মিলেছে রাশি রাশি টাকার। চন্দন মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে পাওয়া গেছে ১৬ কোটি টাকার হদিশ। দেখা গেছে, ২০১১ সালের পর থেকে মমতা জমানায় প্রত্যেক এজেন্টই দিনে দিনে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। হাজার হাজার বেকার যুবককে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা লুঠের এমন গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড জালিয়াতি এর আগে ভূভারতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ফলে প্রশ্ন উঠছে,প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে গেলেও কেলেঙ্কারির দায় কি এড়াতে পারে কালীঘাট?এব্য়াপারে আপনারা কী বলেন? কমেন্ট বক্সে গিয়ে জানান মতামত। আপনাদের বক্তব্যও উঠে আসুক সকলের সামনে।
Tags:
SSC recruitment scam
SSC
ssc scam
ssc scam news
bengal ssc scam
bengal ssc scam news
Recruitment scam
west bengal ssc scam
ssc scam west bengal
west bengal ssc scam news
teacher recruitment scam in west bengal
west bengal ssc teacher recruitment scam
recruitment scam in west bengal
wb ssc scam probe
ssc scam in bengal
bengal ssc scam case
west bengal ssc recruitment scam
west bengal scam news
slst recruitment scam
recriutment scam
ssc scam agent