তিন তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় উত্তাল ক্যানিং
WB: Prime accused in Canning triple murder was a TMC worker, claims family
TMC panchayat member Swapan Majhi and two party workers Jhantu Halder and Bhootnath Pramanik were shot dead and then hacked by four assailants in Canning, around 50 kms southwest of Kolkata, on Thursday morning. A day after a Trinamool Congress (TMC) panchayat member and two party workers were brutally murdered in South 24 Parganas district of West Bengal, a family member of the prime accused revealed that he too is a TMC worker, the police said on Friday.
লড়াই দুই তৃণমূলের। লড়াই এলাকায় ক্ষমতা দখলের। দুই পক্ষেরই দাবি তারাই আসল। এবং শাক্তিশালী।
দুই তৃণমুলের এলাকা দখলের লড়াইয়ে খুন তিন তৃণমূল কর্মী। যার মধ্যে একজন পঞ্চায়েত সদস্য। বাকি দুজন বুথ সভাপতি। বৃহস্পতিবার সকালেই গুলি বোমায় কেঁপে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং-এর কচুয়া এলাকা। অভিযোগ, কচুয়ার পিয়ার পার্কের কাছে পৌঁছতেই দুষ্কৃতীরা পথ আটকায় বাইকের। বোমা ছোঁড়ে প্রথমে। থমকে গেলে তিন জনকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই পড়ে যায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি।
তাঁর দুই সঙ্গী ঝন্টু হালদার ও ভূতনাথ প্রামাণিক পালাতে গিয়ে পাশের ক্ষেতে নেমে যায়। সেখানে তাড়া করে খতম করা হয় দুজনকেই। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তিনজনেরই গলার নলি কেটে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে, দুষ্কৃতীরা স্বপন এবং তাঁর দুই সঙ্গীর মাথা কেটে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু গুলি এবং বোমার আওয়াজে আশপাশের বাসিন্দারা বেরিয়ে এলে তারা বাইকে চড়ে চম্পট দেয়।
----------কে এই রফিকুল সর্দার? ...
রফিকুল সর্দার মূলত একজন কুখ্যাত ক্রিমিনাল
একাধিক অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে
সমস্ত নির্বাচনে তাঁকে ব্যবহার করত তৃণমূল কংগ্রেস
কিছুদিন আগেই মাদক মামলায় ছাড়া পেয়েছে জেল থেকে
যদিও স্থানীয়দের দাবি, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন বলে, রফিকুলকে ছাড়িয়েছেন তৃণমূলের নেতারাই। তবে তৃণমূলের আরেকগোষ্ঠীর নেতা পঞ্চায়েত সদস্য স্বপনের কারণে এলাকায় ঢুকতে পারছিল না রফিকুল সর্দার। সেই কারণে এর আগে স্বপনের ডানহাত বাদলের ওপর হামলা চালায় রফিকুল। বাদল ছিলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। ওই হামলার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন স্বপন। তাহলে কি প্রত্যক্ষদর্শী সরাতে খুন? বিধায়ক জানিয়েছেন, কুনের আশঙ্কা করছিলেন স্বপন মাঝি। তিনিই তাঁকে যেতে বলেছিলেন তাঁর বাড়িতে।
অর্থাৎ বিধায়ক জানতেন স্বপন মাঝির আসার কথা। স্বপনের স্ত্রীও জানিয়েছেন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ঘর থেকে বার হন স্বপন মাঝি।
প্রাণের আশঙ্কা ছিল জানিয়েছিলেন বিধায়ককে। জানতেন স্ত্রীও। সেই কারণেই সন্দেহ। স্থানীয় থানায় জানালে। পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয়নি? নাকি এটাও পরিকল্পনার অঙ্গ? সেই পরিকল্পনার পিছনে কারা আছেন সেটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ। যদিও তৃণমূলের নেতারা দোষ চাপিয়েছেন বিজেপির ওপর।
বিধানসভার নাম ক্যানিং পশ্চিম। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ৫১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। ৩৫% ভোট এসেছিল বিজেপির ঝুলিতে। বাকিরা কেউই ৬ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। কার্যত বিরোধী শূন্য বিধানসভা ক্ষেত্র। পঞ্চায়েত সমিতি-গ্রাম পঞ্চায়েতে দু একজন বিরোধী থাকলেও জেলা পরিষদ শূন্য। কারণ ভোট দিতেই দেয়নি তৃণমূলের বাহিনী। যেখানে বিরোধী নেই সেখানে বিরোধীরা তিন তিন জন শাসক দলের কর্মীকে খুন করে দিয়ে গেল প্রকাশ্য দিবালোকে? পুলিশের দাবি তদন্ত চলছে।
ছ'মাস আগেও আরেক তৃণমূল নেতা খুন হয়েছিল। তাঁর এখনও কোন কিনারা হয়নি। স্বীকার করেন তৃণমূল নেতারাই।
সেই কারণেই স্থানীয় মানুষের বক্তব্য তৃণমূলের নিজেদের ক্ষমতা দখল তোলাবাজির লড়াইয়ের মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচন আসবে। নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই খুনোখুনি বাড়বে তৃণমূলের ভিতরে। দুই তৃণমূল। দুজনের হাতেই দুষ্কৃতী মজুত। দুই পক্ষই চাইছে, কাটমানি তোলাবাজির মধু শুধু তাঁর নিজের জন্যই থাকুক।