নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে 'কালীঘাটের কাকু' আসলে কে?
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (ssc recruitment scam) এবার নতুন তথ্য। রহস্য বাড়িয়ে উঠে এল কালীঘাট কাকুর (kalighater kaku) নাম। রাজ্য জুড়ে চাকরি বিক্রির নামে এজেন্টরা যে কোটি কোটি টাকা তুলেছে, তার অনেকটাই নাকি পৌঁছে যেত এই ব্যক্তির কাছে। কিন্তু কে তিনি? তাপস মণ্ডল জানিয়ে দিয়েছেন,তাঁর নাম সুজয় ভদ্র। প্রথমে তিনি বলতে না চাইলেও পরে উগরে দেন এই নাম। তবে কালীঘাটের কাকুর কথা প্রথম বলেছিলেন গোপাল দলপতি। এই গোপাল দলপতির কথা আবার জানিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। অর্থাৎ, চাকরি বিক্রির খেলায় এজেন্ট, সাব এজেন্টরা সামনে আসতেই ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে পিরামিড রহস্য।
নিয়োগ দুর্নীতি যে পিরামিড আকারে হয়েছে, তা আদালতেই দাবি করেছিল সিবিআই। গোয়েন্দাদের মতে, এই পিরামিডের একেবারে নীচের তলায় আছে চাকরিপ্রার্থীরা। তারপরের ধাপে রয়েছে সাব এজেন্ট। এক ধাপ উঁচুতে এজেন্ট। সেখান থেকেই টাকা চলে যেত কলকাতায়। কিন্তু ওই টাকা পৌঁছত কার কাছে? গোয়েন্দাদের মতে, একদম ওপরের হাতে পৌঁছনোর আগে কলকাতায় কারুর কারুর কাছে সেই টাকা জমা হতো। চক্রের এই পর্বে নাম উঠে এসেছে কালীঘাট কাকুর। তাঁর নাম ফাঁস করেছেন তাপস মণ্ডল। আবার কুন্তল ঘোষ বলেছেন বিভাস অধিকারী নামে আর একজনের কথা। ফলে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। তবে কৌতূহল বাড়িয়েছে কালীঘাট কাকু। কারণ এই নামের সঙ্গেই জড়িয়ে গেছে কালীঘাটের কথা। তথ্য সামনে আসতেই কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, কাকু,কাকুর ভাইপো,কাকীমা, মাসিমা, পিসিমা, ভাইপো সবার নামই একে একে সামনে আসবে।
রাজ্য জুড়ে কৌতূহল ছড়িয়েছে এই কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে। জানা যাচ্ছে, তাঁর নাম সুজয় ভদ্র। বাড়ি বেহালার ফকিরপাড়ায়। এখানকার বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই সুজয় ভদ্র আবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জিরও ঘনিষ্ঠ। অভিষেকের এক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। কয়লা পাচার কাণ্ডে তাঁকে দিল্লিতে জেরাও করেছিল ইডি। বছর খানেক আগেই তাঁকে ৯ ঘণ্টা জেরার মুখোমুখি হতে হয়। তবে কয়লা পাচারের পাশাপাশি চাকরি বিক্রির টাকা হাতানোর অভিযোগেও তাঁর নাম উঠে আসায় বাংলা জুড়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। অভিষেকের সঙ্গে তাঁর যে সম্পর্ক আছে, তা মেনে নিয়েছেন সুজয় ভদ্রও।
বিজেপির অভিযোগ, লিপস অ্যান্ড বাউন্ড কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সুজয় ভদ্র। ২০১২ সালে এই কোম্পানিটি তৈরি হয়। কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে নাম আছে অমিত ব্যানার্জি ও লতা ব্যানার্জির। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা কেলেঙ্কারির কিং পিন অনুপ মাঝি ওরফে লালার একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি থেকে ৪ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার হয়েছিল লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানিতে। সবকটিই শেল কোম্পানি বলে অভিহিত করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ২০১৪ সালের আগে অভিষেক ব্যানার্জিও এই কোম্পানির অংশীদার ছিলেন। তবে ডায়মন্ড হারবার থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার আগে কোম্পানি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁর আমলেই এই কোম্পানির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন সিপিএম নেতা গৌতম দেব। সারদার কেলেঙ্কারির টাকা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে ঢুকেছে বলে তোপ দেগেছিলেন তিনি। কালের নিয়মে সেসব চাপা পড়ে গেছে। তবে চাকরি বিক্রির সঙ্গে কালীঘাটের কাকুর নাম উঠে আসায় ফের ভেসে উঠেছে দুর্নীতির চাপা গন্ধ।
Tags:
SSC recruitment scam
SSC
Teacher Recruitment scam
ssc scam
ssc scam news
bengal ssc scam
bengal ssc scam news
Recruitment scam
west bengal ssc scam
ssc scam west bengal
west bengal ssc scam news
bengal ssc case
teacher recruitment scam in west bengal
west bengal ssc teacher recruitment scam
recruitment scam in west bengal
Bengal scam
wb ssc scam probe
wb scam
ssc scam in bengal
bengal ssc scam case
west bengal ssc recruitment scam
west bengal scam news
SLST Scam
recriutment scam
kalighater kaku
ssc scam