ডিএ-র দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন
ডিএ-র (DA) দাবিতে ক্রমশ চাপ বাড়ছে মমতা সরকারের (Mamata Government) ওপর। রাজ্য জুড়ে চলছে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন (government employees agitation)। শহিদ মিনারে ধর্না অবস্থানের সঙ্গেই শুরু হয়েছে অনশন। অসুস্থ হয়েও হাল ছাড়তে নারাজ তাঁরা। বরং চলছে হকের দাবি আদায়ের চেষ্টা। সরকারের অবস্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সপ্তাহের প্রথম দিনই পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারি ও পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। কর্মবিরতিতে স্তব্ধ হয়ে গেছে রাজধানী কলকাতা থেকে উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন সরকারি দফতর।
কলকাতার পাশাপাশি এই ছবি মালদার। সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন হল মুচিয়া অঞ্চল চন্দ্রমোহন হাইস্কুলে। ডিএর দাবিতে আন্দোলনে সামিল হলেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। তাঁদের দাবি, স্বচ্ছ করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। ডিএ দিতে হবে কেন্দ্রীয় হারে। আন্দোলনের জেরে অচল হয়ে গেল আদালতও। সোমবার বালুরঘাটে কর্মবিরতিতে সামিল হন জেলা আদালতের কর্মচারীরা। দিনভর কর্মবিরতিতে থমকে যায় বিচারের কাজ। সমস্যায় পড়েন বিচারক, আইনজীবী থেকে বিচারপ্রার্থীরা। তবে আন্দোলনকারীদের একটাই দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ মানুক সরকার।
খেলা, মেলা আর তোষামোদের রাজনীতি করতে গিয়ে এরমধ্যেই ভাঁড়ে মা ভবানীর অবস্থা রাজ্য সরকারের। এর ওপর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে সরকারি কর্মীদের ডিএ মেটানোর। তা পিছিয়ে দিতে এরমধ্যেই বারবার আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে সরকার। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি বদল করা যায়নি। ফলে কোন পথে এই আন্দোলন মেটানো যায়, তা ভেবে হিমশিম সরকার। কারণ এরমধ্যেই তৃণমূলপন্থী ইউনিয়নেও ভিতরে ভিতের ভাঙন শুরু হয়েছে। অনেকেই সরকারের কাজকর্মে তিতিবিরক্ত। তাই ডিএ আন্দোলনই মমতা জমানার বদল ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।