রাজ্যে নিলামে শিক্ষা!ধরা পড়বে ধেড়ে ইঁদুর?
মমতার আমলে রাজ্যে কার্যত নিলামে উঠেছিল শিক্ষা বিভাগের চাকরি। তদন্তে চক্ষু চড়ক গাছ বিশেষ তদন্তকারী দলের। হার্ড ডিস্ক পরীক্ষা করে তাদের বক্তব্য, শিক্ষায় নিয়োগে সর্বস্তরে দুর্নীতি হয়েছে। বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে ২১ হাজার। এরমধ্যে ৯ হাজারেরও বেশি ওএমআর শিটে জালিয়াতি হয়েছে। ওই উত্তরপত্র বিকৃত করা হয়েছে। এমনও দেখা গেছে, কেউ পেয়েছে শূন্য, ওএমআর শিটে তার নম্বর হয়ে গেছে ৫৩। একই ভাবে যারা ১ বা ২ পেয়েছে, তাদের প্রাপ্ত নম্বর হয়ে গেছে ৫১, ৫২। বিশেষ তদন্ত কারী দল যখন আদালতে এই তথ্য জমা দেয়, তখন বিষ্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি স্পষ্ট জানান, এটা কোনও ভূতের কাজ নয়। এই প্রক্রিয়ার পিছনে নিশ্চিত ভাবেই কারুর হাত আছে।
সোমের পর মঙ্গলবারও বেআইনি চাকরি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আদালত। গ্রুপ ডি নিয়োগে ভুয়ো সুপারিশ কত, তা যাচাই করার জন্য ১০০ ওএমআর শিট খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি এসএসসিতে বেআইনি চাকরির সুপারিশ নিয়ে ৪০ জনের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। যাদের নাম প্রকাশ করা হবে, তারা চাইলে মামলা লড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অযোগ্যরা কাকে, কীভাবে টাকা দিয়েছিলেন, তা জানতে জেরা চালাচ্ছে সিবিআইও। নিজাম প্যালেসে দুই জেলার ৫০ জন অযোগ্যকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা।
একদিকে নিয়োগ, অন্যদিকে বদলি। এই শিক্ষক বদলিতেও দুর্নীতি হয়েছে বলে মত হাইকোর্টের। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বদলি সংক্রান্ত মামলায় মন্তব্য করেছেন, রাজ্যের স্কুলে স্কুলে ঢালাও শিক্ষক বদলি আর একটি দুর্নীতির রাস্তা। যাঁদের নজর শুধু বদলিতে, সেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি ছেড়ে দেওয়া উচিত।
প্রতিটি স্তরেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। শিক্ষায় নিয়োগে দুর্নীতি আর দুর্নীতি। এই দুর্নীতির শেষ দেখে ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরাও। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কয়েকদিন আগেই জানিয়েছেন, ধরা পড়বে ধেড়ে ইঁদুর। অর্থাৎ, ইঁদুর যেমন কুড়ে কুড়ে সমস্ত বইয়ের পাতে খেয়ে ফেলে, সেভাবেই এরাজ্যের কিছু ধেড়ে ইঁদুর কুড়ে কুড়ে নষ্ট করেছেন শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষায় বেশিরভাগ নিয়োগকেই তাঁরা নিলামে তুলেছিলেন। অভিযোগ, চার পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে ১০-১২ লক্ষ টাকাতেও এই চাকরি বিক্রি হয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠছে, এর দায় কার? কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কোথায় কে কী অনিয়ম করছে, আর আঙুল উঠছে তাঁর দিকে। কিন্তু রাজ্যে যখন এই বিপর্যস্ত অবস্থা, যেখানে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী থেকে শীর্ষ আধিকারিকরা জেলে, সেখানে প্রশাসনের মাথা হিসেবে তিনি কি দায় এড়িয়ে থাকতে পারেন?
Tags:
SSC recruitment scam
High Court
Teacher Recruitment scam
TET SCAM
Recruitment scam
hc
teacher recruitment scam in west bengal
Bengal Recruitment scam
recruitment scam in west bengal
school recruitment scam
ssc teacher recruitment scam
Teachers recruitment scam
primary teacher recruitment scam
teachers recruitment scam news
police recruitment scam
recruitment scam high court