মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর চলাকালীনই বেআইনিভাবে তোলা হচ্ছে বালি
ছবিগুলো শুধু দেখুন। তিস্তার বুক থেকে বেআইনি ভাবে তোলা হচ্ছে বালি। এটা রায়গঞ্জের পাহাড়পুর এলাকা। কোনও নিয়ম মানা হচ্ছে না। তৃণমূল নেতাদের মদতে চলছে এই কাজ। দিন রাত এভাবে চুরি যাচ্ছে বালি। আর এর ধাক্কা সামলাচ্ছে সাধারণ মানুষ। নদী বদলাচ্ছে তার খাত। আচমকা আসছে হড়পা বান। এভাবেই দশমীতে বিসর্জন দিতে গিয়ে নদীতে ভেসে যাচ্ছে বহু প্রাণ।
মালবাজারের ঘটনার পর কেটে গেছে ১২টা দিন। স্বজনহারাদের শুকিয়ে গেছে চোখের জল। এমন সময় সেখান গিয়ে বাণী দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলছেন, কোথা থেকে জল এল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কিন্তু তদন্ত করে কী হবে। দিনের পর দিন যেখানে এভাবে বেআইনি কাজ চালানো হচ্ছে, সেদিকে কি প্রশাসনের নজর আছে? (বালি তোলার ছবি)
মুখ্যমন্ত্রী যখন জলপাইগুড়ি সফরে, তখনই সেখানে এভাবে খালি করা হচ্ছে তিস্তার বুক। বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্কবাণী দিচ্ছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা। আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে এই তথ্য সামনে এনেছেন। কিন্তু সেদিকে নজর দিলে তো আবার রাজনীতি করা যাবে না। তাই চাকরির কথা বলেই সকলের মন ভোলাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু প্রশাসন যদি আগাম ব্যবস্থা নিত, তাহলে এই শোকের দিন যে নাও আসতে পারত, সেকথা শাসককে বোঝাবে কে? বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের প্রশ্ন, যাদের অপদার্থতা ও গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে, সেই মালবাজার পুর প্রশাসকদের কি শাস্তি দেবে সরকার? বিজয়ার করুণ সুর যখন এখনও কাটেনি, তখন বিজয়া সম্মিলনী করতে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু যিনি দলেই অন্য কারুর কথা কানে তোলেন না, তিনি আমজনতার কথা শুনবেন কীভাবে? তাই তৈরি হচ্ছে অরাজক পরিস্থিতি। চোরাচালান বন্ধে নজর নেই, সাবধানতায় নজর নেই, শুধু মুখে বাণী দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এভাবেই ডেকে আনছেন বাংলার সর্বনাশ।