মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারিতে অবাক পূৰ্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর ব্লকের পূর্ব খাঁপুর গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের প্রিয় বালুর নাম যে রেশন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাবে, তা ভাবতেও পারছেন না খাঁপুরবাসী। তবে, ইডি-র (ED) সূত্র ধরে বিপুল সম্পত্তির বিষয়টি সামনে আসতেই পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর ব্লকের এই গ্রামেই জন্ম রাজ্যের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই মন্ত্রীর। এভাবে দুর্নীতির অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হওয়ায় গ্রামবাসীরা ছি: ছি: করছেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে বালু দুর্নীতির দায়ে ইডি-র জালে (ED)
রেশন দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)(ED) কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি চলার পর বাড়ি থেকে বালুকে গ্রেফতার করে। বালু মন্তেশ্বরের খাঁপুরে চতুর্থ শ্রেণি অবধি পড়াশোনা করেছিলেন। তারপর গিয়েছিলেন কলকাতায়। বর্ধমান জেলার খাঁপুরেও পুরনো বাড়ি ছিল তাঁদের। সেই বাড়ি ভেঙে প্রাসাদোপম বাড়ি বানানো হয়েছে। ওই গ্রামে জ্যোতিপ্রিয়ের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিকের একটি বাড়ি রয়েছে। তাঁর বাবা শক্তিপদ মল্লিক ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। এরকম স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগে অবাক গ্রামবাসীরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেসে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন বালু। পরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূলের দীর্ঘদিন জেলা সভাপতি ছিলেন তিনি। বিরোধীদের অভিযোগ, গত কয়েক বছরে জ্যোতিপ্রিয়র সম্পত্তি কয়েক গুণ বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দদের কী বক্তব্য?
ইডির (ED) হাতে বালুর গ্রেফতারির পর খাঁপুর গ্রামেরের বাসিন্দারা বলেন, একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে এতটাই দুর্নীতিগ্রস্ত তা ভাবতে অবাক লাগছে। এই গ্রামের ছেলে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হয়েছে বলে আমরা গর্ব করতাম। আর এখন তাঁর নাম মুখে আনতে লজ্জা লাগছে। কী ভাবে এই বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন বালু? তাই গ্রামের মানুষ চাইছেন, সঠিকভাবে তদন্ত হোক এবং সত্যি সামনে আসুক। রেশনে দুর্নীতি হয়েছে বলা হছে। তদন্ত হলেই সঠিক বিষয়টি জানা যাবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours