Vizhinjam Port: ভিজিঞ্জাম বন্দরে যাওয়ার রাস্তা আটকানো যাবে না, নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে...
kerala_high_court
kerala_high_court

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিজিঞ্জাম বন্দরে (Vizhinjam Port) যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে কষ্ট দেওয়া যাবে না রাজ্য এবং রাজ্যবাসীকে। সম্প্রতি এই মর্মে রায় দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। দ্রুত এই রায় কার্যকর করার নির্দেশও দিয়েছে কেরলের এই আদালত। বিচারপতি অনু শিবরামণ এও বলেন, এই আন্দোলন নিয়ে কাউকেই রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত, কেরল (Kerala) থিরুভানানথাপুরম জেলার মুল্লুরে একটি মাল্টি-পারপাস সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ চলছে। তার জেরেই অশান্তির সূত্রপাত। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানিই এই বন্দরটি গড়ছেন। কিন্তু অতিকায় এই মাল্টি পারপাস সমুদ্র বন্দরের প্রবেশপথই আটকে দিয়েছেন স্থানীয় খ্রিস্টান মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মানুষ। যার জেরে মাঝপথে থমকে গিয়েছে বন্দর নির্মাণের কাজ।

কারা বাধা দিচ্ছে?

জানা গিয়েছে, ৯০০ মিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পটি গৌতম আদানির স্বপ্নের প্রকল্প। দেশের প্রথম কন্টেনার ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হতে চলেছে ভিজিঞ্জামের এই বন্দরটিই (Vizhinjam Port)। আদানির সেই স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের আন্দোলন। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে এখানে তৈরি হয়েছে ১২০০ বর্গফুটের একটি শেল্টার। শেল্টারের ছাদ লোহার তৈরি। সেখানেই ঝোলানো হয়েছে ব্যানার। চলছে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিবাদ আন্দোলন। লোহার এই শেডের নীচে পাতা রয়েছে শ’ খানেক প্লাস্টিকের চেয়ার। এই চেয়ারেই বসে রয়েছেন প্রতিবাদীরা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

আরও পড়ুন: ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে’’, গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতির

কেরল হাইকোর্ট বারবার নির্মাণকাজ শুরু করতে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও, এখনও পর্যন্ত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরানোর কোনও চেষ্টা করেনি। এদিকে, আগামী শুক্রবারই বন্দরে (Vizhinjam Port) ভারী যান পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে গৌতম আদানির সংস্থা। চলতি সপ্তাহেই আদালত নির্দেশ দিয়েছে, কোনওভাবেই ওই এলাকায় যান চলাচলে বাধা দেওয়া যাবে না। তার পরেই বন্দর এলাকায় যান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদানি গ্রুপ।

আদানি গ্রুপের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের  একাধিক নির্দেশ সত্ত্বেও বন্দরে (Vizhinjam Port) যাওয়ার রাস্তা অবরোধমুক্ত হয়নি। পরিস্থিতিরও কোনও পরিবর্তন হয়নি। সরানো হয়নি শেল্টার শেডও। যদিও প্রতিবাদীদের দাবি, আলোচনা চলছে, পরিস্থিতিরও উন্নতি হচ্ছে। আদালত জানিয়েছে, আলোচনা চলছে ভাল কথা। তবে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। এর পরেই আদালত বলে, বন্দরে যাওয়ার রাস্তায় অবরোধ অনুমোদন করা যায় না। রাজ্য এবং রাজ্যবাসীকে কোনওভাবেই আটকানো যায় না।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles