মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতিকে বিদায় জানালেন নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন (Jacinda Ardern)। ওয়েলিংটনে সংসদে তাঁর বিদায়ী ভাষণের সময় আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন জেসিন্ডা। সকলের উদ্দেশে তিনি বলেন, "দেশকে, দলকে, সমাজকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় কোনও কিছু যেন বাধা না হয়।ক্লান্ত বোধ করলে, নিজের সেরাটা দিতে না পারলে সেই পথ ত্যাগ করা উচিত।"
মহিলাদের প্রতি আহ্বান
মহিলাদের প্রতি তাঁর আহ্বান, নেতৃত্ব দেওয়ার পথে মাতৃত্বকে বাধা করবেন না। জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, ‘আমি জেনেছি যে আমি সেরা মা হতে পারতাম।’ ৪২ বছর বয়সী আর্ডার্ন বলেন, ‘আমি যখন লেবার পার্টির নেতা হয়েছিলাম তখন আইভিএফ ব্যর্থ হওয়ার কোনও অভিজ্ঞতা লাভ করিনি।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমি নিজেকে এমন একটি পথে খুঁজে পেয়েছি যার অর্থ আমি মা হতে পারব না। কয়েক মাস পরে যখন আমি আবিষ্কার করলাম যে আমি গর্ভবতী ছিলাম, তখন আমার বিস্ময়ের কথা কল্পনা করুন।’
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে রাজনীতি নয়
পাশাপাশি তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা থেকে রাজনীতিকে দূরে রাখার আহ্বান জানান। উল্লেখ্য গত জানুয়ারি মাসে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, তিনি পরিশ্রান্ত এবং নেতৃত্ব দেবার মতো তাঁর “যথেষ্ট শক্তি নেই।” জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়েন। তিনি বলেছিলেন, "আমি ভেবেছিলাম শুধু এক বছরের জন্য নয়, আরও একটি মেয়াদ পূরণ করার জন্য প্রস্তুতি নেব। কিন্তু আমি আর পারছি না। আগামী চার বছর এভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কে সঠিক ব্যক্তি আর কে নয়, তা বোঝার দায়িত্বও নিজেরেই।"
আরও পড়ুন: ডুবিয়েছে একসন্তান নীতি, জনসংখ্যা হ্রাসে সংকটে চিন
জেসিন্ডার পরিচয়
আগামী বছর অক্টোবর মাসে নিউজিল্যান্ডে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। লেবার পার্টির সঙ্গে প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল পার্টির কড়া টক্কর হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের মত। তার আগে জেসিন্ডার এই ঘোষণা যথেষ্টই বড় এফেক্ট বলে মনে করছে লেবার পার্টির নেতৃত্বরা। ২০১৭ সালে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন জেসিন্ডা। সে সময় তিনি ছিলেন বিশ্বের কনিষ্ঠতম রাষ্ট্রনেতা। ২০২০ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসে লেবার পার্টি। এর আগে তিনি নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টোনি ব্লেয়ারের অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours