মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslide) ভূমিধসে বিপর্যয়ের শিকার হয়ে এক পরিবারের ১৬ জনকে হারিয়ে মর্মান্তিক দুঃখের কথা প্রকাশ করলেন ৪২ বছরের মনসুর। তিনি বলেছেন, “আমার কিছুই নেই, সব হারিয়ে ফেলেছি, নিঃস্ব করেছে আমাকে।” এরপর রীতিমতো কান্নায় তিনি ভেঙে পড়েছেন তিনি। গত ৩০ জুলাই বর্ষার অতিভারী বৃষ্টি এবং ভূমিধস অকল্পনীয় ক্ষতি সাধন করেছে। শতশত মানুষের ধসের নিচে চাপা পরে মৃত্যু হয়েছে। বাড়িঘর, গাছপালা, ফসল এবং সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি (Landslide) হয়েছে। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। উদ্ধারের কাজে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা জওয়ান সহ একাধিক সংস্থা জোর কদমে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
চোখের জলই এখন সম্বল (Wayanad Landslide)
শোকস্তব্ধ মনসুর বলেছেন, “এই প্রাকৃতিক ধ্বংসযজ্ঞের কবলে মা, স্ত্রী, দুই সন্তান, বোন এবং এক পিসির পরিবারের ১১ জন সদস্য সহ মোট পরিবারের ১৬ জনকে কেড়ে নিয়েছে। এই ধস এবং বন্যা পরিবারের সকলকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। আমার তো বেঁচে থাকার কোনও রসদ রইল না। আমার ঘুম আসছে না, শুধু এই চোখের জলই এখন সম্বল। তবে দুর্ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। একটা কাজে বাড়ির বাইরে ছিলাম। আমার মেয়ের মৃতদেহ এখনও পর্যন্ত পাইনি। চারটি মৃতদেহ পেয়েছি, যার মধ্যে রয়েছে আমার স্ত্রী, ছেলে, বোন এবং মায়ের দেহ। আমি এখনও আমার মেয়েকে খুঁজে পাইনি। আপাতত আমি ভাইয়ের সঙ্গে রয়েছি।”
মায়ের দেহাবশেষ শনাক্ত করলাম
অপর দিকে মনসুরের ভাই নাসির তাঁদের পরিবারের ওপর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের (Wayanad Landslide) প্রভাব সম্পর্কে বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, “আজ সকালেই আমাদের মায়ের দেহাবশেষ শনাক্ত করলাম। মোট চারজনের মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবারের এখনও ১২জন সদস্যের কোনও খোঁজ নেই। ঘটনার দিন আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, মা, বোনেরা বাড়িতেই ছিলেন। তবে এমন বিপর্যয় হবে, প্রশাসনের তরফ থেকে আগে কোনও সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়নি। আচমকা জলের স্তর বাড়তে থাকলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মর্মান্তিকভাবে বিপর্যয় ঘটে যায়। তাঁদেরকে আমার বাড়িতে আসতে বলেছিলাম, কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে সব শেষ হয়ে গেল। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে পুরো এলাকা। আমার ভাই ওঁর পরিবারের সবাইকে চিরতরে হারিয়ে ফেলেছেন।”
আরও পড়ুনঃ মদের 'সারোগেট' বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার পথে মোদি সরকার, পার পাবেন না সেলিব্রিটিরাও
চলছে উদ্ধার কাজ
ইতিমধ্যে কেরলের টাস্ক ফোর্স ক্ষতিগ্রস্থ (Wayanad Landslide) এলাকা পরিদর্শন করে এখন মোট সাতটি এলাকাকে চিহ্নিত করে দ্রুত উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মুন্ডক্কাই, পুঞ্চিরিমাত্তম এবং চুরামালায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি (Landslide) হয়েছে। এদিকে, মাটির নিচে ধসে আটকে থাকা লোকজনকে উদ্ধার করতে অত্যন্ত তৎপর হয়ে কাজ করে চলেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours