মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের রাশ গিয়েছে জামাতের হাতে। কোটা আন্দোলন যে মুখোশ ছিল, তা প্রকট হয়েছে তখনই যখন বাংলাদেশের (Greater Bangladesh) রাজনৈতিক অস্থিরতা সাম্প্রদায়িক হিংসার রূপ নিয়েছে। এরই মাঝে বাংলাদেশের কট্টর মৌলবাদীরা, পশ্চিমবঙ্গকেও বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছে। এনিয়ে সমাজ মাধ্যমের পাতায় শুরু হয়েছে প্রচারও। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে বেশ কতকগুলি স্ক্রিন শট। ওই পোস্টগুলিতে প্রতিফলন দেখা গিয়েছে, মৌলবাদীদের ভাবনার গ্রেটার বাংলাদেশকে। ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলিতে বাংলাদেশের মানচিত্রের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে রাজ্য বিজেপির (WB BJP)।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে শেয়ার করেছেন এমনই একটি স্ক্রিন শট। সেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে (WB BJP)। এনিয়ে জগন্নাথবাবু লিখছেন, ‘‘মনে রাখবেন, বাংলাদেশের যে শক্তির উত্থান হল তাঁদের মনের বাসনা আমরা জানতে পেরেছি। সেই শক্তি পশ্চিমবঙ্গকেও ইসলামিকরণ করে বাংলাদেশে জুড়তে চায়।’’
পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর ষড়যন্ত্র (Greater Bangladesh)
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলি প্রথম থেকেই পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সক্রিয়। সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে জনবিন্যাসের বদল করছে তারা, যাতে কাশ্মীরের মতো, বাংলার সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতেও খুব তাড়াতাড়ি দাবি ওঠে বাংলাদেশভুক্তির। এনিয়ে জগন্নাথবাবু (WB BJP) লিখছেন, ‘‘অরাজকতার পর্বে এটি আরও স্পষ্ট হয়েছে। মানচিত্রটি তৈরি করে বিতরণ হয়েছে। যেটা আমরা বরাবরই বলে আসছি পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর ষড়যন্ত্র। হিন্দু বাঙালির এখন ভাববার সময় এসেছে।’’
বাংলাদেশে যা ঘটল একই ঘটনা ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গে ঘটেছে
প্রসঙ্গত, নিজের পোস্টে জগন্নাথবাবু ২০২১ সালের ভোট পরবর্তী হিংসাকে বাংলাদেশের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেছেন। বিধানসভার পরে শাসক দলের সন্ত্রাস, আসলে সাম্প্রদায়িক হামলা ছিল, এই তত্ত্বে সিলমোহর দিয়েছেন জগন্নাথবাবু। তাঁর দাবি পশ্চিমবঙ্গও ইসলামিকরণের দিকেই যাচ্ছে। এনিয়ে রাজ্য বিজেপির নেতা লিখছেন, ‘‘বাংলাদেশে যা ঘটল একই ঘটনা ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর আমরা পশ্চিমবঙ্গে দেখেছি। গত কয়েকদিনে এ রাজ্যে তৃণমূলের অন্দরের অনেক হিন্দু মন্ত্রী, নেতা, বিধায়ক, আমলার ফোন পেয়েছি। তাঁরাও আতঙ্কিত। এঁদের পূর্বপুরুষেরা অনেকেই ওপার থেকে এপারে এসেছিলেন। এখন বুঝতে পারছেন, বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছেন। হিন্দু বাঙালির (WB BJP) এবার ভাববার সময় হয়েছে। এপারে প্রস্তুতি কতটা তীব্র হলে খোদ কলকাতার মেয়র দাওয়াত-এ-ইসলামের ডাক দিতে পারেন?’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours