মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির করাল গ্রাস থেকে যেন কোনওভাবেই মুক্তি মিলছে না রাজ্যবাসীর। কখনও রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের কাঁচামাল সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা, কখনও ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, কখনওবা দুর্নীতি আবাস যোজনায়। তালিকা দিনকে দিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এবার একগুচ্ছ দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকরা। আরামবাগের কেশবপুর ইনস্টিটিউশনের ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
কী অভিযোগ তুলছেন অভিভাবকরা?
অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সব কিছুই নিজের ইচ্ছামতো করছেন। মিড ডে মিলে গরমিল, স্কুলের ফলক তৈরিতে অর্থ তছরুপ সহ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ (Corruption) তোলেন অভিভাবকরা। এমনকি ক্লাসরুমে পর্যাপ্ত পাখা না থাকা সত্ত্বেও গরমের মধ্যে দিনে তিনটি করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে কেন? সেই প্রশ্ন তুলেও সোচ্চার হন অভিভাবকরা। স্কুলের পরিচালন কমিটি না থাকার কারণে প্রধান শিক্ষক ইচ্ছামতো কাজ করছেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ তুলে এদিন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। দীর্ঘক্ষণ চিৎকার-চেঁচামেচি চলে। দাবি ওঠে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের। এক অভিভাবক বলেন, স্কুলে যে পরীক্ষা হয়েছে, তাতে প্রশ্নেই উত্তর। পরীক্ষা ১১ টা থেকে আরম্ভ হওয়ার কথা। সেই পরীক্ষা শুরু হয়েছে বেলা ১ টার পর। কোনও গার্ড নেই। গরমে ছেলেগুলো আধমরা হয়ে বাড়ি ফিরছে। পড়তে নয়, যেন কুস্তি লড়তে যাচ্ছে। যাদের কাছে আমরা ছেলেদের পাঠাচ্ছি, তাদের কোনও দায়িত্বই নেই। তাদের একটাই লক্ষ্য, মাস গেলে মাইনে বুঝে নেবো।
প্রধান শিক্ষক জবাবে কী জানালেন?
যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজকুমার খামরুই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। ক্লাসরুমে ফ্যান আছে বলেই তিনি দাবি করেন। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করার জন্যই এসব করা হচ্ছে। আইন মেনেই তিনি যা করার করছেন। দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours