মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প পর্যালোচনার দায়িত্ব এবার একটি গ্লোবাল কনসালটেন্সি ( global consultancy)সংস্থার হাতে তুলে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ই ওয়াই (আর্নাস্ট অ্যান্ড ইয়াঙ্গ) নামে ওই সংস্থা এই প্রকল্পটির ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো খুঁজে বের করবে বলে জানানো হয়েছে। কীভাবে এই প্রকপ্লের পরিমার্জন সম্ভব তা-ও জানাবে তারা।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পরেও, বেসরকারি হাসপাতালগুলির (private hospital)বিল মেটাচ্ছে না রাজ্য সরকার বলে সম্প্রতি স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে চিঠি দিয়েছিল পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠন। দ্রুত বিল মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসচিব (health secretery)। অন্যদিকে এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল রোগী ভর্তি নিতে চাইছে না বলে অভিযোগ আসছিল রাজ্য সরকারের কাছে। সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলির মধ্য পড়ে নাভিশ্বাস উঠছিল রোগী এবং তার পরিবারের। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প ঘিরে দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তার মেঘ। তা দূর করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছ।
স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi scheme )কার্ড থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা প্রভাবশালীর হস্তক্ষেপে হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়, বলে দাবি করে বহু রোগীর পরিবার। অনেকে আবার তা-ও পায় না। হাসপাতালে ঘুরে ঘুরেই দিন কেটে যায়। হাসপাতালগুলির তরফে দাবি করা হয়, এই প্রকল্পে রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সরকারের সঙ্গ চুক্তি অনুযায়ী, হাসপাতালে শয্যাসংখ্যার ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় থাকে। কিন্তু রোগীর সংখ্যা থাকে তার তুলনায় অনেক বেশি। ফলে সবসময় বেড (beds at hospital) পাওয়া যায় না।
জনসাধারণের সুবিধার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে সরকার। কোনও রোগের চিকিৎসায় ৫ লক্ষ টাকা অবধি ক্যাশলেস পরিষেবা পাওয়া যায় এই প্রকল্পে। অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার তরফে সম্প্রতি জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতির পরে চিকিৎসার খরচ অনেকাংশে বেড়েছে। তাই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসার খরচ পুনর্বিবেচনা করুক রাজ্য সরকার। না হলে, বর্তমান চিকিৎসার খরচে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে। ৩ বছর আগে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসার খরচের পুনর্মূল্যায়ন করেছিল রাজ্য সরকার। ১৫ মাস আগে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসার খরচ বাড়ানো হয়। কিন্তু এখন ফের খরচের পুনর্মূল্যায়ন জরুরি।
+ There are no comments
Add yours