Panchayat: এটাই কি উন্নয়ন? ত্রিপল দেওয়া ঘরে ঝড়বৃষ্টির সময় ঠাঁই চৌকির নিচে!

তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের (Panchayat) বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ক্ষোভ এলাকাবাসীর
Panchayat_(1)
Panchayat_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙা বেড়া। তার ওপরে ছেঁড়া ত্রিপল! বৃষ্টি এলেই ভিজে যায় ঘর, দমকা হাওয়া দিলেই উড়ে যায় ত্রিপল। নিরুপায় হয়ে ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির ছেলেমেয়েদের নিয়ে চৌকির তলায় ঠাঁই নিতে হয়। তার ওপর বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের লাইন বসলেও পড়ে না জল। আর্সেনিকযুক্ত জল খেয়েই বেঁচে থাকতে হয় তাঁদের। এভাবে চূড়ান্ত সমস্যায় একাধিক আদিবাসী পরিবার। এরকম একটা দুঃসহ অবস্থায় মেলেনি কোনও সরকারি পরিষেবা। তাই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের (Panchayat) বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ক্ষোভ এলাকাবাসীর। নদিয়ার শান্তিপুর থানার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সরদারপাড়া। শতাধিক মানুষের বসবাস। বছরের পর বছর ধরে বসবাস করলেও এখনও পর্যন্ত মেলেনি পঞ্চায়েতের কোনও পরিষেবা।

কী বলছেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা (Panchayat)?

এই বিষয়ে ওই এলাকার এক দিনমজুর রাম সরদার বলেন, আমরা কোনও কিছুই সুবিধা পাই না। ঘর এখনও পাইনি। ভোট এলে তবেই পঞ্চায়েত সদস্যদের এলাকায় দেখা যায়। একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আমরা চাই, যাতে অন্তত সরকারি ঘরটা তাড়াতাড়ি পাই। আরেক বাসিন্দা নিমাই সরদার বলেন, জন্মের পর থেকেই এই ত্রিপলের ঘরে বসবাস করছি। ঝড়বৃষ্টি এলে ভয় হয়। কিন্তু কিছু করার নেই। বাধ্য হয়ে থাকতে হয়। একাধিকবার পঞ্চায়েত সদস্যকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। তিনি শুধু আশ্বাস দিয়ে গেছেন।কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ওই এলাকার বাসিন্দা খুদু সরদার বলেন, বৃষ্টি হলেই বাড়ির সামনে এক হাঁটু জল জমে যায়। বাড়িতে সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। এর আগে একাধিকবার ঘরে সাপ ঢুকেছিল। বাড়িতে ছোট বাচ্চা নিয়ে চরম আতঙ্কে থাকি। কিন্তু আমাদের কোনও ঘর দেওয়া হয়নি। বয়স্ক ভাতা থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কিছুই আমি পাই না। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে একজন আসেন, দেখে চলে যান। কাজের কাজ কিছুই হয় না। সবকিছু বিক্রি করে কোনও রকমে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগটা করিয়েছি। আমরা চাই অবিলম্বে সরকার এবং পঞ্চায়েতের (Panchayat) তরফ থেকে পরিষেবার ব্যবস্থা করুক।

ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেত্র্রী?

যদিও পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই এলাকার বিজেপি নেত্রী শিলা হালদার মণ্ডল। হরিপুর পঞ্চায়েতের (Panchayat) বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, যাঁরা মূলত তৃণমূল করছেন, তাঁরাই ঘর পাচ্ছেন। একবারের জায়গায় দু থেকে তিনবার একই নামে ঘর আসছে। অথচ যাঁরা নিম্নবিত্ত শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ, যাঁরা ঘর পাওয়ার যোগ্য, তাঁরা ঘর পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েত এলাকার এক শ্রেণির তৃণমূল নেতা কাজ না করে রাতারাতি ফুলেফেঁপে উঠছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, শুধুমাত্র ঘর নয়, প্রতিটি প্রকল্পে ব্যাপক হারে দুর্নীতি করেছে এই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত।

কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (Panchayat)?

এ বিষয়ে হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat) প্রধান শোভা সরকার বলেন, ঘর মূলত কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার উভয়ের আর্থিক বরাদ্দ থেকে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্র থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য না মেলায় ঘর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ওই প্রকল্পের টাকা আমাদের হাতে এলেই আমরা ঘর দেওয়া শুরু করব। অন্যদিকে অন্যান্য প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, সঠিক নথিপত্র যাদের রয়েছে তাদের আমরা বিভিন্ন প্রকল্পের পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছি।

ওই এলাকার বর্তমান পঞ্চায়েত (Panchayat) সদস্যা তনুশ্রী সাহার স্বামী এবং প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তাপস কুমার সাহা বলেন, বাম আমলে কোনও কাজ হয়নি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এবং আমি প্রথম মেম্বার হওয়ার পর ওই এলাকায় একশো শতাংশ উন্নয়ন করেছি। সরদার পাড়ার প্রত্যেকেই ঘর পেয়েছে। পাশাপাশি বিধবা ভাতা এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সবাই পেয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles