TMC Inner Clash: দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা  

কানে যায়নি তৃণমূল নেত্রীর বার্তাও...
injured_tmc_leader
injured_tmc_leader

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুব তৃণমূল নেতার মারে জখম তৃণমূল নেতা (TMC)। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) বুলন্ডি এলাকায়। শেখ উজির আলি নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েও। ওই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

২০২৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections)। তার আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আরামবাগের বুলন্ডি এলাকা। রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো বুলন্ডিতেও মূল লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। আর যুব তৃণমূলের নেতৃত্ব দেন পলাশ রায়। এলাকা দখল নিয়ে এই দুই নেতার বিবাদের জেরে মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুলন্ডি। এই যেমন হয়েছিল রবিবার। এদিন বিকেলে পলাশের গোষ্ঠীর এক অনুগামীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় কৃষ্ণচন্দ্রের ভাই তথা মায়াপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অলক সাঁতরার কয়েকজন অনুগামী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অলক। তিনি বলেন, আমাদের দলের কয়েকজন কর্মীকে বিজেপির লোকজন মারধর করেছিল বলে খবর পেয়ে এলাকায় যাই। ওরা আমাকেও মারধর করে। অলক বলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ওরা বিজেপির এজেন্ট ছিল। তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেছিল। ভোটারদের ভয় দেখিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করেছিল। তাঁর দাবি, এখন তৃণমূলে ঢুকে দলেরই কর্মীদের মারধর করছে ওরা। ঘটনার খবর পেয়ে বুলন্ডি এলাকায় যায় আরামবাগ থানার বিশাল বাহিনী। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় অলককে। ঘটনায় দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে আরামবাগ থানায়। 

আরও পড়ুন : নকল দলিল বানিয়ে জমি চুরি তৃণমূল কংগ্রেস নেতার

রবিবারের ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে বুলন্ডির মহেশপুর এলাকা। এদিন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন বিধায়কের অনুগামী শেখ উজির আলি। অভিযোগ, তাঁকে একা পেয়ে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে পলাশের অনুগামীরা। উজিরকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েও। খবর পেয়ে ফের এলাকায় যায় পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। উজিরকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।  

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত ভোট যতই ঘনিয়ে আসবে, ততই বাড়বে সংঘর্ষের ঘটনা। উপদলীয় কোন্দল নির্মূলে একাধিকবার দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। দলনেত্রীর সে নির্দেশ যে অনেক নেতার কানেই ঢোকেনি, বুলন্ডির এই দুই ঘটনাই তার প্রমাণ।

আরও পড়ুন : দুর্নীতি, ভাইপো, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় TMC-র অন্তর্দন্দ্বে সরগরম রামপুরহাট

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles