Alipurduar: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

চোরদের ভালো করে চিনে নিতে হবে! পঞ্চায়েতকে চোরমুক্ত করতে হবে! হুঙ্কার শুভেন্দুর
Alipurduar_(2)
Alipurduar_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) শেষ রবিবারের প্রচারে ঝড় তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার জেলার তিন জায়গায় সভা করেন তিনি। বীরপাড়ার জুবিলি ক্লাবের মাঠ থেকে প্রচার শুরু করেন। সাধারণ মানুষকে চোরদের ভালো করে চিনে নিতে হবে এবং পঞ্চায়েতকে চোরমুক্ত করতে হবে বলে হুঙ্কার দেন শুভেন্দু অধিকারী।

বীরপাড়াতে (Alipurduar) কী বললেন শুভেন্দু?

বীরপাড়া (Alipurduar) জুবিলি ক্লাবের মাঠ থেকে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষের আশা-আকাঙ্খা ততদিন পূরণ হবে না, যতদিন রাজ্যে বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনাল। এই নির্বাচনে পিসি-ভাইপোর কোম্পানিকে বিদায় দিতে হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত এই দলকে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে পরাজিত করতে হবে। এদিন শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, শিলিগুড়িতে মিনি মহাকরণ হওয়ার কথা ছিল! কিন্তু কী হয়েছে সেখানে? কেউ কি কোনও জায়গা থেকে শিলিগুড়িতে প্রতিদিন কাজ করতে যান?

অভিষেকের উদ্দেশে কী বললেন?

এদিন ফালাকাটায় (Alipurduar), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগকে খণ্ডন করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, অভিষেক বলেছেন আমরা দিল্লি গিয়ে রাজ্যের পাওনা বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা রাজ্যের পাওনা বন্ধ করিনি। আমরা এই রাজ্যের ভ্রষ্টাচার, দুর্নীতি বন্ধ করেছি। আমরা জনগণের টাকা নয়ছয় করতে দিতে পারি না! এদিন বীরপাড়ার সভার পর কালচিনির থানা মাঠে সভা করেন শুভেন্দু। এরপর সেখান থেকে কুমারগ্রামের বারোবিশা বিবেকানন্দ ক্লাবের মাঠে শুভেন্দুর সভা হয়।

বঞ্চিত উত্তরবঙ্গ সম্পর্কে কী বললেন?

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তিনি বলেন, রাজ্যের চা বাগানের শ্রমিকদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গের নদীর বালি, পাথর চুরি করে অবৈধ ভাবে চালান করছে সরকারের আশ্রিত মাফিয়ারা। জঙ্গলের গাছ পাচার হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের দিকে নজর নেই তৃণমূল সরকারের। লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকার মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। কিন্তু এলাকার জন প্রতিনিধিদের এই তৃণমূল সরকার কাজ করতে দিচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, সরকারি যে কোনও কাজে বিজেপির জন প্রতিনিধিদের ডাকা হয় না। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে রাহুল নামক এক তৃণমূলের মাফিয়াকে দিয়ে গরু পাচারের কাজ করছে ভাইপো। পুলিশ প্রত্যক্ষভাবে সমস্ত অবৈধ কাজের অনুমোদন দিয়ে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে টাকা খাচ্ছে। তিনি খুব স্পষ্ট করে বলেন, উত্তরবঙ্গে রাজ্য লটারি খেলাকে ঘিরে অবৈধভাবে তৃণমূলের নেতারা দুর্নীতি করে চুরি করেছে। কে পুলিশ! কে রাজীব! আর কে তৃণমূল! চেনা মুশকিল!

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles