মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধারের পর তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন। সময় এলে তিনি যে সব জানাবেন তাও জানিয়েছেন মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদ্য প্রাক্তন ভারী মন্ত্রী। কিন্তু কেন পার্থবাবু ষড়যন্ত্রের কথা মুখে আনলেন? প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর অন্দরের খবর রাখা একটি বিশেষ সূত্র জানাচ্ছেন, অর্পিতার নামে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা সম্পত্তি বা অর্থের হদিশ সংক্রান্ত নথি পার্থবাবুর নাকতলার বাড়িতে আগে ছিল না। গত ২২ জুলাই ইডি পার্থবাবুর বাড়িতে তল্লাশি চালায়, ঠিক তার দিন সাতেক আগে ওই সংক্রান্ত একটি ফাইল পার্থবাবুর বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি যদিও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর একেবারে বিশ্বাসভাজন ব্যক্তি। নথিপত্র বাড়িতে রেখে আসার দিন সাতেকের মধ্যেই যে ভাবে ইডি তল্লাশি শুরু হয় তাতে ‘ষড়যন্ত্র’ তত্ত্ব পোক্ত হচ্ছে বলে পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন : 'অপা'-য় হানা ইডির, শান্তিনিকেতনে পার্থ-অর্পিতার সম্পত্তির খোঁজে তল্লাশি
সূত্রের খবর, ইডি তল্লাশি শুরু হওয়ার পর তদন্তকারীরা নথিপত্রের ফাইলটি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেন। পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠদের দাবি, যেন মনে হচ্ছিল ইডি ফাইলটি যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে পাওয়া যাবে তা জানতেন। সেই নথি পেতেই পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো তদন্তের কাজ এগিয়েছে। অর্পিতার নিয়ন্ত্রণে থাকা সম্পত্তি গুলির খোঁজ পেতেই দেখা যাচ্ছে, নানা জনের নামে সে সব কেনা রয়েছে। সে সব খুঁজতে গিয়ে দুর্নীতি চক্রের জালে জড়িয়ে পড়েছে বহু রাঘববোয়ালও।
আরও পড়ুন : অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই
পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠসূত্রের দাবি, অর্পিতার নিয়ন্ত্রণে থাকা নথিগুলি নাকতলার বাড়িতে রেখে এসেছিলেন এক আইনজীবী। সেই আইনজীবী পার্থবাবুর কাছের হলেও ইদানীং তৃণমূলের এক অতীব প্রভাবশালীর কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলেন। এছাড়া যে ভাবে নির্দিষ্টভাবে পর পর দুদিনে ৫০ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে তাতে এক সিনিয়র পুলিশ অফিসারের নামও উঠে আসছে। সিনিয়র ওই পুলিশ অফিসার তৃণমূলের অন্দরের খবর রাখতেন। তবে ইদানীং নবান্নর বিরাগভাজন হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, 'গুপ্ত'ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র
পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন, চাকরি দুর্নীতির মূল টাকা উঠেছিল ২০১৪ সাল নাগাদ।সেই টাকা এখন আর মজুত নেই। ঘরবাড়ি, জমি জায়গা কিনে তা শেষ হয়ে গিয়েছে। সদ্য উদ্ধার হওয়া টাকা তা হলে কিসের টাকা? অনেকের মতে, এখানেই লুকিয়ে আছে পার্থবাবুর ষড়যন্ত্র তত্ত্বের আসল কাহিনী। কেন তিনি উদ্ধার হওয়া টাকা নিজের নয় বলে উল্লেখ করলেন? ইডি সেই পথেই হাঁটছে বলে জানা যাচ্ছে।
+ There are no comments
Add yours