মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কত রকমের হাসি আছে! কেউ হাসে হি হি করে, কেউ বা হা হা করে। কেউ হো হো করে। হাসির কবিতা, নাটক গল্প সবকিছু স্থান পেয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সাহিত্যে। সুকুমার রায়ের আবোল-তাবোল পড়লে তো পেটে হাত দিয়ে হাসতে হয়। যোগাসন বা যে কোনও থেরাপির অন্যতম উপাদান হল হাসি। প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন একদল লোক যোগাসন করছে, আর হো হো করে হাসছে। আসলে হাসলে শরীর-মন সুস্থ থাকে, কাজে আগ্রহ, একাগ্রতা বাড়ে।
‘বিশ্ব হাসি দিবস’ (World Laughter Day 2024)
প্রতিবছর মে মাসের প্রথম রবিবার পৃথিবীব্যাপী পালিত হয় 'বিশ্ব হাসি দিবস' (World Laughter Day 2024)। চলতি বছরে আজ সেই দিন, অর্থাৎ ৫ মে। এই দিনটির তাৎপর্য হল বিশ্বজুড়ে সচেতনতা ছড়ানো হাসির সুফল নিয়ে, এর পাশাপাশি এই দিনে সচেতনতা ছড়ানো হয়, খুশি থাকলে মানুষের রোগ অনেক গুণে কমে যায়, অথবা রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। বিশ্ব হাসি দিবস চালু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। এর নেপথ্যে ছিলেন ডঃ মদন কাটারিয়া, যিনি ছিলেন বিশ্বব্যাপী 'হাসি-যোগা আন্দোলনে'র অন্যতম উদ্যোক্তা। 'বিশ্ব হাসি দিবসে'র (World Laughter Day 2024) অন্যতম লক্ষ্য হল, পৃথিবীব্যাপী সংস্কৃতিভেদে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব স্থাপন। এই দিনটিতে প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় দেখানো হয় যে হাসলে চাপমুক্ত হওয়া যায়, টেনশন কমানো যায় এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপক উন্নতি ঘটে।
হাসির (World Laughter Day 2024) সুফলগুলি কী কী
- কাজে দক্ষতা বাড়ে: একজন মানুষ যখন সারাক্ষণ হাসিখুশিতে থাকেন তখন সাধারণভাবে প্রতিটা কাজেই তিনি উৎসাহ পান। একাগ্রতার সঙ্গে সেই কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন। যার ফলে কাজের দক্ষতা আপনাআপনি বেড়ে যায়। বিশ্বব্যাপী অনেক সংস্থা রয়েছে যারা তাদের কর্মচারীদের মধ্যে প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে হাসির অনুশীলন করায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী: বিশেষজ্ঞদের মতে, হাসলে স্ট্রেস ব্যাপকভাবে কমে যায় এবং হাসি (World Laughter Day 2024) সাহায্য করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে। এর ফলে কোনও মানুষের রোগ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
- হাসলে বিভিন্ন হ্যাপি হরমোন নিঃসৃত হয়: বিশেষজ্ঞদের মতে, হাসলে এন্ড্রোফিন হরমোন ভালোমতো নিঃসৃত হয় এবং এর পাশাপাশি স্ট্রেস হরমোন যেমন অ্যাড্রিনালিন কমতে থাকে। হাসি, ক্যালরি পোড়াতেও সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
- মন এবং শরীরে পরিবর্তন আনে হাসি: হাসি মানুষকে তৃপ্তি দেয় এবং এই অনুভূতি যে কোনও কাজে আগ্রহ বাড়ায়। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনও সমস্যাকেও সমাধান করতে পারে হাসি। হাসলে ডিপ্রেশন, উদ্বেগ কমে যায় এবং এটি যে কোনও মানুষকে সবকিছুতে ইতিবাচক করে তোলে। এর প্রভাব দেখা যায় শরীরেও।
- হাসলে জীবন অনেক সহজ সরল হয়ে যায়: বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যত বেশি হাসবেন তত আপনার জীবনের সমস্যাগুলি কমতে শুরু করবে। খুব তাড়াতাড়ি ইতিবাচক মানসিকতায় সেগুলিকে সমাধান করে ফেলবেন। হাসি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং জীবনকে সহজ সরল করে তুলবে।
- হাসি মুড ভালো রাখে: হাসি সব সময় আপনার মুড ভালো রাখবে এবং যেকোনও রকমের অস্বস্তি শরীর এবং মনে আসতে দেবে না।
- যে কোনও অনুভূতির ভারসাম্য বজায় থাকে: হাসলে আপনার মন সব সময় আশাবাদী থাকবে। আপনি ইতিবাচক হবেন। আপনার একাগ্রতা বাড়বে। মনে এক গভীর শান্তি অনুভব করবেন। তৃপ্তি পাবেন। যার ফলে আপনাকে যে কোনও রকমের খারাপ অনুভূতি বিব্রত করতে পারবেনা।
- হাসি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে: যে কোন মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হাসির বিকল্প নেই। হাসিখুশিতে থেকে কথাবার্তা বললে সামনের জন সহজেই আপনার প্রতি ইমপ্রেস হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours