মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন বিস্ফোরণ! বিশ্বের জনসংখ্যা (World Population) ছুঁয়ে ফেলল ৮০০ কোটির মাইলস্টোন। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ (UN)। তাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। ১৯৭৪ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা পার হয়েছিল ৪০০ কোটির চৌকাঠ। যার অর্থ, মাত্র ৪৮ বছরেই দ্বিগুণ হয়েছে বিশ্বের জনসংখ্যা।
২০১১ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা...
জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ছাড়িয়েছিল ৭০০ কোটি। আর এ বছর হল ৮০০ কোটি। অর্থাৎ ১১ বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা পেরল ১০০ কোটি। যা রেকর্ড বই কি! রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ৯৭০ কোটি। ১৮০৪ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ১০০ কোটি। তার পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে জনসংখ্যা।
রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্ট থেকে এও জানা গিয়েছে, অস্বাভাবিক গতিতে যে জনসংখ্যা (World Population) বেড়েছে, তার কারণ একদিকে যেমন বেড়েছে গড় আয়ু, তেমনি অন্যদিকে কয়েকটি দেশে সন্তান জন্মের হার অত্যন্ত বেশি। জনস্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং উন্নত ওষুধ আবিষ্কারের কারণে কমেছে মৃত্যুহারও। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে জনসংখ্যা।
আরও পড়ুন: চিনা আগ্রাসন রুখতে পূর্ব লাদাখে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত, জানেন?
বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভারতের জনসংখ্যাও। রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যেই জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে টপকে যাবে ভারত। তার পরেই ভারতের জনসংখ্যা হয়ে যাবে বিশ্বের মধ্যে সব চেয়ে বেশি। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে ভারত ও চিন দুই দেশের জনসংখ্যাই ১৪০ কোটির বেশি। ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার চিনের থেকেও ঢের বেশি। কেবল ভারত নয়, গোটা পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়ই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি। রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্ট থেকেই জানা যাচ্ছে, শুধু দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়ই বাস করেন গোটা বিশ্বের ২৯ শতাংশ মানুষ। আর পূর্ব এশিয়ায় বাস করেন ২৬ শতাংশ।
তবে আশার আলোও দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, ২০৩০ সালে ভারত চিনকে টপকে গেলেও, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ক্রমেই নিম্নগামী। কারণ ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ২০৩৭ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ছোঁবে ৯০০ কোটির ঘর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours