World Schizophrenia Day: সিজোফ্রেনিয়া আসলে কী? জেনে নিন এই রোগের অজানা কিছু তথ্য

Awareness about Schizophrenia: সিজোফ্রেনিয়া রোগের লক্ষণ কী? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?
WhatsApp_Image_2024-05-24_at_1124.27_AM
WhatsApp_Image_2024-05-24_at_1124.27_AM

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শারীরিক রোগ নিয়ে আমাদের দেশের মানুষ যতটা খোলামেলা, ঠিক তার উল্টোটা হয় মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে। আমারা কেবল বাইরে থেকেই নিজেদের উন্নত করেছি। কিন্তু মন এখনও পড়ে পুরনো যুগে। তাইতো মানসিক রোগ নিয়ে আমাদের এখনও ট্যাবু কাটেনি। পরিবারের কেউ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসা করানোর আগে সমস্যা লুকোতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ি আমরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানসিক সমস্যাকে সাধারণত কেউ তেমন গুরুত্ব দিতে চান না। যে কারণে মানসিক রোগের চিকিৎসা শুরু হয় একেবারে শেষ মুহূর্তে। আর তখন পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এমনই এক ভয়ানক মানসিক রোগ হল সিজোফ্রেনিয়া। বর্তমানে গোটা বিশ্বে শুধুমাত্র সিজোফ্রেনিয়াতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটির বেশি যার বেশীরভাগই মূলত অবহেলার শিকার। তাই সিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতি বছর ২৪ মে বিশ্ব সিজোফ্রেনিয়া দিবস (World Schizophrenia Day) পালন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

কাদের হয় এই রোগ? (World Schizophrenia Day) 

সম্প্রতি এক সমিক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশ মানুষ সিজোফ্রেনিয়াতে আক্রান্ত। সাধারণ মানুষের গড় আয়ুর তুলনায় সিজোফ্রেনিয়াতে আক্রান্ত রোগীর আয়ু প্রায় ১৫-২০ বছর কমে যায়। অর্থাৎ, সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হলে রোগীর মৃত্যু সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেকটাই আগে হয়। ২০-৪৫ বছর বয়েসি কিশোর-কিশোরী, পুরুষ-মহিলা, যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

কী কারনে হয় সিজোফ্রেনিয়া? 

ঠিক কী কারণে কেউ সিজোফ্রেনিয়ায় (World Schizophrenia Day) আক্রান্ত হন তার কোনও নির্দিষ্ট কারণ এখনও খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা। তবে কোনও অভিজ্ঞতার ফলে অত্যধিক মানসিক চাপ থেকে এই রোগের সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়াও বংশগত কারণ, মস্তিষ্কে রাসায়নিকের ভারসাম্যের অভাব, অনেক সময় ভয়াবহ ভাইরাল ইনফেকশন থেকেও হতে পারে সিজোফ্রেনিয়া। 

সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ

সিজোফ্রেনিয়া (World Schizophrenia Day) রোগের প্রধান লক্ষণগুলি মূলত ৩ ভাবে প্রকাশ পায়—১)চিন্তার মধ্যে অসংলগ্নতা, ২)আচরনগত সমস্যা, ৩)অনুভূতি বিষয়ক সমস্যা। অর্থাৎ কোনও অবাঞ্ছিত বিষয় নিয়ে মনে অযথা সন্দেহ,ভুল জিনিসকে সত্যি ভেবে তার ওপর দৃঢ় বিশ্বাস কিংবা হটাৎ করেই জোরে হেঁসে ওঠা, আবার কোনও কারণ ছাড়াই কেঁদে ফেলা, হঠাত করেই খুব বেশি রেগে যাওয়া বা উত্তেজিত হয়ে ওঠা,কোনও কারণ ছাড়াই এক জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকা,আগে একেবারেই যা করতেন না, সে ধরনের আচরণ করতে থাকা। বিশেষ কোনও কিছুর গন্ধ পেতে থাকা, যদিও সেই গন্ধ অন্যেরা কেউই পাচ্ছেন না অথবা কেউ তার সঙ্গে কথা না বললেও, মনে হতে পারে কেউ যেন তার সঙ্গেই কথা-বার্তা বলছে। সিজফ্রেনিয়ার রোগীরা এ ভাবেই পশুপাখির ডাকও শুনতে পান।

আরও পড়ুন: ৪০০ পেলেই কাশী-মথুরায় বিতর্কিত জমিতে মন্দির নির্মাণ, ফের হুঁশিয়ারি হিমন্তের

এই রোগের প্রভাব 

উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলি যদি কারও মধ্যে ৬ মাসের বেশি সময় দেখতে পাওয়া যায় তাহলে তিনি সিজোফ্রেনিয়াতে আক্রান্ত হতে পারেন। প্রাথমিক পর্যায়ে সিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসা না করানো হলে তা ক্রমেই বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। আমাদের দেশে মানসিক রোগ সম্পর্কে ধারণায় স্বচ্ছতার অভাব থাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চরম অবস্থায় পৌঁছে যায় সিজোফ্রেনিয়া (World Schizophrenia Day)। এই রোগে আক্রান্তের ভাবনা-চিন্তা, অনুভূতি, কাজের উপর প্রভাব ফেলে। তাই প্রাথমিক লক্ষণ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই মনরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। সামান্য অবহেলাও মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। তবে সময় মত চিকিৎসা করালে অনেক ক্ষেত্রেই রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles