Yasin Malik: কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন, কী কী অভিযোগ ছিল?

Yasin Malik: সন্ত্রাসী কাজকর্মে আর্থিক জোগানের মামলায় দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন। আদালতের নির্দেশ দেওয়ার পরেই কাশ্মীরে বিশেষভাবে সতর্ক নিরাপত্তা বাহিনী...
yasin_malik_1
yasin_malik_1

মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে (Yasin Malik) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালতের তরফে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life term) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার (Act of war) অভিযোগ এনে ইয়াসিন মালিকের ফাঁসির দাবি করেছিল এনআইএ। ফাঁসি না হলেও ওই অভিযোগে ন্যূনতম শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বুধবার প্রাক্তন জেকেএলএফ (JKLF) নেতা ইয়াসিন মালিক আদালতে বলেন, 'কাশ্মীরে বুরহান ওয়ানির হত্যার ৩০ মিনিটের মধ্যে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। অটল বিহারী বাজপেয়ী আমাকে পাসপোর্ট দিয়েছিলেন। তার জোরেই আমি যে কোনও মন্তব্য করতে পারি। আমি কোনও ক্রিমিনাল নই।' 

আরও পড়ুন: জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত, দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক

ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, সেই তালিকায় রয়েছে-- কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে বিতাড়ন। ভারতীয় বায়ুসেনার কয়েকজন অফিসারকে হত্য়া। উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকালপে মদত। জঙ্গিদের আর্থিক মদত। হুরিয়ত কন্ফারেন্স, হিজবুল মুজাহিদিন, দুক্তার-ই-মিল্লাত এর মতো সংগঠন উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য টাকা তুলেছিল। তার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল ইয়াসিনের।

এনআইএ-র দাবি, হুরিয়ত (Hurriyat) নেতাদের সঙ্গে মালিক তৈরি করেছিল জয়েন্ট রেজিস্টান্স নামে একটি সংগঠন। তারাই কাশ্মীরে বন‍্‍ধ, প্রতিবাদ সভা, রাস্তা রোখার মতো কার্যকলাপ করত। নিয়ন্ত্রণ রেখায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই টাকা ইয়াসিন বিলি করত পাথর নিক্ষেপকারীদের মধ্যে। এনআইএর চার্জশিটে নাম রাখা হয়েছে লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ ও হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিন। 

আরও পড়ুন: "কাশ্মীরে নাশকতা কার্যকলাপে জড়িত", আদালতে স্বীকারোক্তি ইয়াসিন মালিকের

আদালতে ইয়াসিন মালিক দাবি করেন, ১৯৮৪ সালের পর অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তার পর থেকে তিনি অহিংস রাজনীতির পথেই রয়েছেন। দেশের ৭ প্রধানমন্ত্রীর সময়ে তিনি রাজনীতি করেছেন। তিনি জানান, ১৯৯৪ সালে অস্ত্রত্যাগের পর থেকে মহাত্মা গান্ধীর নীতি মেনে, তাঁর আদর্শ অনুসরণ করেই এগিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, "কাশ্মীরে অহিংস রাজনীতিরই অংশ আমি। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা প্রমাণ করুক কোনও হিংসার বা জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে আমি জড়িত কিনা! রাজনীতি থেকে অবসর নেব, মৃত্যুদণ্ডও মাথা পেতে নেব।"

এদিকে ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়ার পরে কাশ্মীরে বিশেষভাবে সতর্ক রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কোথাও যাতে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি না হয় সেকারণে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উপত্যকায়।  ইতিমধ্য়েই কাশ্মীরের কিছু এলাকায় বিক্ষোভ দানা বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, অশান্তির আশঙ্কায় জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে ইন্টারনেট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles