Yulla Kanda: উল্লা কাণ্ডা, পৃথিবীর উচ্চতম স্থানে অবস্থিত কৃষ্ণ মন্দির

এই মন্দিরের আরও একটি বিশেষত্ব হল, যেকোনও ধর্মের মানুষ এসে এখানে প্রার্থনা করতে পারেন।
Yulla_Kanda
Yulla_Kanda

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা সকলেই হিমাচল প্রদেশকে (Himachal Pradesh) পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে জানি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না হিমাচল প্রদেশ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির পীঠস্থান। এরকম একটি জায়গা হল উল্লা কাণ্ডা (Yulla Kanda)। এখানেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চস্থানে অবস্থিত কৃষ্ণ মন্দির (Lord Krishna Temple)। শুধু মন্দিরই নয়। এখানে রয়েছে একটি বিখ্যাত হ্রদ। কথিত আছে পাণ্ডবরা অজ্ঞাতবাসে থাকাকালীন এই হ্রদ তৈরি করেছিলেন। এই হ্রদের পরই শুরু হয় মন্দির এলাকা। 

আরও পড়ুন: এবার সমবায় ব্যাঙ্ক নিয়োগ দুর্নীতি! জড়াল মন্ত্রী অরূপ রায়ের নাম

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২,০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই মন্দির। এই মন্দিরটিই বিশ্বে সব থেকে উঁচু এলাকায় অবস্থিত। এই মন্দিরের আরও একটি বিশেষত্ব হল, যেকোনও ধর্মের মানুষ এসে এখানে প্রার্থনা করতে পারেন। কৃষ্ণের আশির্বাদ যিনিই চাইবেন, তিনিই এই মন্দিরে স্বাগত। 

 

ভুষার রাজা কেহরি এখানে জন্মাষ্টমী উৎসবের সূচনা করেছিলেন। ভুষা রাজত্বের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই মন্দিরের। জনশ্রুতি রয়েছে, উল্লা কাণ্ডার এই হ্রদে কিন্নর এলাকার ঐতিহ্যবাহী টুপি উল্টিয়ে ভাসানো হত। বিশ্বাস ছিল, সেই টুপি ডুবে না গিয়ে অপর পাড়ে ভেসে গিয়ে পড়ে, তাহলে পরের বছরটি ভালো যাবে। কিন্তু যদি অপর পাড়ে যাওয়ার আগেই টুপি ডুবে যেত, তাহলে মনে করা হত পরের বছর দুর্ভাগ্যের বার্তা নিয়ে আসবে।  

আরও পড়ুন: নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে কাঠগড়ায় হেমন্ত সোরেন, বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ

প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর উৎসবে স্থানীয় এবং আশেপাশের জেলার মানুষ উৎসবে শামিল হতে এই মন্দিরে আসেন। পাপ মুক্তির জন্যে হ্রদ পরিক্রমাও করেন ভক্তরা। 

কল্পা এবং পাঙ্গি থেকে অনেকেই কাশাং পাস দিয়ে ট্রেক করে এই মন্দিরে আসেন। অনেকে কানফু গ্রাম ঘুরে লিস্টিগরং পাস দিয়েও এই মন্দিরে আসেন। কানফু থেকে ভাভা পাস দিয়ে ট্রেক করেও এই মন্দিরে আসা যায়। 

যাদের ট্রেকিং- এর নেশা রয়েছে তাঁদের জন্যে এটি একটি অসাধারণ গন্তব্য। বিশেষ করে যারা ট্রেকিং শুরু করেছেন, তাঁরা এই জায়গা খুব পছন্দ করেন। কারণ খুব বেশি ঝুঁকি নেই এবং কম দূরত্ব। উর্নি গ্রাম থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উল্লা কাণ্ডা। এই ট্রেকে হিমালয়ের অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন আপনি। পাহাড়, জঙ্গল, বরফ সবকিছুই পাবেন এই ছোট্ট পথে। রাতের বেলায় দেখতে পাবেন এক আকাশ তারা। মোট ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ট্রেক। কমবেশি ৩ দিন দুই রাত সময় লাগে এই ট্রেক সম্পন্ন করতে। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

 

 

 

 

 


  

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles